উখিয়া-টেকনাফের রোহিঙ্গা ক্যাম্পের কর্মহীন রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর মধ্যে দিন দিন বাড়ছে অপরাধ প্রবণতা। দীর্ঘ সময়েও রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু না হওয়ায় ক্যাম্পগুলোতে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ রাখা কঠিন হয়ে যাচ্ছে।
এদিকে উঠতি বয়সের রোহিঙ্গারা চুরি-ডাকাতি থেকে শুরু করে খুন-ধর্ষণের মতো ভয়াবহ অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে। আবার রোহিঙ্গা নারী-পুরুষের একটি অংশ যুক্ত রয়েছে মাদক বাণিজ্যে। গত দুই বছরে রোহিঙ্গা শিবিরে অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বে নিহত হয়েছেন ৪৩ জন। এ অবস্থায় প্রতিনিয়ত চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হচ্ছে প্রশাসনকে।
সূত্র বলছে, অলস থাকার কারণে রোহিঙ্গারা জড়িয়ে পড়ছে বিভিন্ন অপরাধে। রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের পর থেকে এ পর্যন্ত র্যাব-পুলিশ-বিজিবির সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে ৪০ জন রোহিঙ্গা নিহত হন। গত আড়াই বছরে ধর্ষণ, ডাকাতি, অপহরণ, চুরি, মাদক ও মানবপাচারসহ রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে ৪৭১টি। এরমধ্যে মাদক মামলা ২০৮টি এবং হত্যা মামলা ৪৩টি। এসব মামলায় আসামি ১ হাজার ৮৮ জন রোহিঙ্গা।
সর্বশেষ সোমবার (২ মার্চ) কক্সবাজারের টেকনাফে র্যা ব ও বিজিবির সঙ্গে পৃথক ‘বন্দুকযুদ্ধে ৮ রোহিঙ্গা ডাকাত নিহত হন। এদের মধ্যে র্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে ৭ জন এবং বিজিবির সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে একজন নিহত হন।
নিহতরা কুখ্যাত রোহিঙ্গা ডাকাত জকি গ্রুপের সদস্য বলে জানিয়েছে র্যাব। এমনকি নিহত সাতজনের মরদেহ নিয়ে ফেরার পথে র্যা ব ও পুলিশকে লক্ষ্য করে ফের গুলিবর্ষণ করেন ডাকাত গ্রুপের সদস্যরা।
আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সূত্র জানায়, প্রত্যাবাসনের পক্ষে ও বিপক্ষে রোহিঙ্গাদের বিভিন্ন গোষ্ঠীর অবস্থানের কারণে পরিস্থিতি জটিল হয়ে উঠছে। বিদ্রোহী সংগঠন ‘আল-ইয়াকিনথসহ কয়েকটি রোহিঙ্গা গোষ্ঠী অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায় ও মাদক চোরাচালানের মতো অপরাধে জড়িয়ে পড়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কক্সবাজার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মো. ইকবাল হোসেন জয়নিউজকে বলেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে যেকোনো ধরনের অপরাধ নিয়ন্ত্রণে পুলিশ তৎপর রয়েছে। মাদক প্রতিরোধেও আইশৃঙ্খলাবাহিনী সবসময় প্রস্তুত।