নবম ওয়েজ বোর্ড বাস্তবায়নের জটিলতা দূর না করলে চলতি মাসেই রাজপথে আন্দোলন শুরু করার ঘোষণা দিয়েছেন সাংবাদিক নেতারা।
রোববার (৮ মার্চ) সকালে নগরের এক কমিউনিটি সেন্টারে চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের (সিইউজে) অভিষেক ও প্রীতি সম্মেলনে তারা এ ঘোষণা দেন।
সাংবাদিকদের বেতন ভাতা নিশ্চিতে রাষ্ট্রের দায় রয়েছে উল্লেখ করে অনুষ্ঠানে সাংবাদিক নেতারা বলেন, ওয়েজ বোর্ড বাস্তবায়ন করার দাবিতে সাংবাদিকরা যদি রাজপথে নামেন তবে তাতে সরকারও ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তাই সরকারের উচিত অবিলম্বে ওয়েজ বোর্ডের শতভাগ বাস্তবায়ন নিশ্চিত করা।
সিইউজে সভাপতি মোহাম্মদ আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সভাপতি মোল্লা জালাল, সাধারণ সম্পাদক শাবান মাহমুদ, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) সভাপতি কুদ্দুস আফ্রাদ, সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ আলম খান তপু, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব সভাপতি আলী আব্বাস ও সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী ফরিদ।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সিইউজের যুগ্ম সম্পাদক সবুর শুভ।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, গণমাধ্যম সবসময় সমাজ পরিবর্তনের সবেচেয়ে কার্যকর মাধ্যম হিসেবে কাজ করেছে। সামনের দিনগুলোতেও সাংবাদিকরা ইতিবাচক ভূমিকার মাধ্যমে গণমানুষের প্রত্যাশা পূরণ করে যাবে।
এসময় নতুন কমিটিকে অভিনন্দন জানিয়ে সবসময় সাংবাদিকদের পাশে থাকার আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
অনুষ্ঠানে বিএফইউজে সভাপতি মোল্লা জালাল বলেন, সাংবাদিকদের রুটি রুজি নিশ্চিত করা না গেলেও সংবাদ মাধ্যমের ব্যবসা দুনিয়াজোড়া বেশ ভালোভাবেই চলছে। সংবাদ মাধ্যমগুলো কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানের রক্ষাকবচ হয়ে উঠেছে।
মোল্লা জালাল আরো বলেন, নবম ওয়েজ বোর্ডের বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে চলতি মাসে নির্বাহী কমিটির সভা ডেকেছে বিএফইউজে। সভায় সকলের মতামতের মাধ্যমে কঠোর আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
এসময় তিনি নবম ওয়েজ বোর্ড বাস্তবায়নে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, সাংবাদিকদের বেতন নিশ্চিত রাষ্ট্রের দায় আছে বলেই সংবাদ মাধ্যমের উপার্জন ও কর্মীদের মজুরি কাঠামো নিয়ে কাজ করে সরকার। তাই সরকারকে ওয়েজ বোর্ড বাস্তবায়নে কঠোর হতে হবে। সাংবাদিকরা যদি রাজপথে নামে তাতে সকলেই ক্ষতিগ্রস্ত হবে। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সরকারও এতে ক্ষতিগ্রস্ত হোক তা আমরা চাই না।
বিএফইউজে সাধারণ সম্পাদক শাবান মাহমুদ বলেন, সাংবাদিকদের ন্যায্য দাবি-দাওয়া নিয়ে আর আপস করার সময় নেই। কঠোর কর্মসূচি দিয়ে বিএফইউজে সাংবাদিকদের দাবি দাওয়া আদায়ের যে উদ্যোগ নিতে যাচ্ছে সকল সাংবাদিক সংগঠনকে তা বাস্তবায়নের মাধ্যমে এগিয়ে আসতে হবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সাংবাদিক সংগঠনগুলোতে নেতাদের মধ্যে বিভেদ অধিকার আদায়ের সংগ্রামকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
অনুষ্ঠানে সিইউজের যেকোন আন্দোলন সংগ্রামে পাশে থাকার আশ্বাস দেন ডিইউজে সভাপতি কুদ্দুস আফ্রাদ।
অভিষেক ও প্রীতি সম্মেলন এছাড়াও বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ম. শামসুল ইসলাম, সহসভাপতি অনিন্দ্য টিটো, ডিইউজের সাংগঠনিক সম্পাদক জিহাদুর রহমান জিহাদ, বিএফইউজের সাবেক সহসভাপতি শহীদ উল আলম, মোস্তাক আহমেদ, দৈনিক জনকণ্ঠের উপ-সম্পাদক মোয়াজ্জেমুল হক, সিইউজের সাবেক সভাপতি এজাজ ইউসুফী, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সহসভাপতি সালাহ উদ্দিন রেজা, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মহসিন চৌধুরী, বিএফইউজে সদস্য রুবেল খান ও আজহার মাহমুদ।
অভিষেক অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সিইউজের সিনিয়র সহসভাপতি রতন কান্তি দেবাশীষ, অর্থ সম্পাদক কাশেম শাহ, সাংগঠনিক সম্পাদক ইফতেখারুল ইসলাম, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ইফতেখার ফয়সাল ও নির্বাহী সদস্য মহরম হোসাইন।
জয়নিউজ/বিআর