‘রাঙিয়ে দিয়ে যাও যাও, যাও গো এবার যাবার আগে’। হ্যাঁ! আজ যে আবির-রঙে রাঙানোর দোল উৎসব। ছোট থেকে বয়োবৃদ্ধ সবাই মেতেছে রঙের খেলায়। পাড়ায় পাড়ায় লেগেছে যেন আজ খুশির দোল।
প্রতিবছর ফাল্গুন মাসের পূর্ণিমা তিথিতে দোলযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়। দোলযাত্রা বৈষ্ণবদের উৎসব। দোলযাত্রার দিন এ রাধা-কৃষ্ণের বিগ্রহ আবিরে রাঙানো হয়। দোলায় চড়িয়ে নগর কীর্তনে বের হন। এ সময় সবাই রং খেলার আনন্দে মেতে ওঠে। তবে কালের যাত্রায় এ উৎসব এখন সার্বজনীন।
বিশ্বের অনেক স্থানে উৎসবটি শ্রীকৃষ্ণের দোলযাত্রা নামে অধিক পরিচিত হলেও ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, মাদ্রাজ, উড়িষ্যা প্রভৃতি স্থানে দোল উৎসব এবং উত্তর, পশ্চিম ও মধ্য ভারত ও নেপালে ‘হোলি নামে পরিচিত। কোনো কোনো স্থানে এ উৎসবকে বসন্ত উৎসবও বলা হয়। আমাদের দেশেও হোলি নামেই এ উৎসব বেশি পরিচিত।
সোমবার (৯মার্চ) নগরের জামালখান, দেওয়ানজী পুকুর পাড়, টেরিবাজার, হাজারী গলি, ফিশারি ঘাট, অভয়মিত্র ঘাট, পাথরঘাটা, নালাপাড়া, চকবাজার, গোসাইলডাঙ্গাসহ বিভিন্ন এলাকার সকলে আজ মেতেছে হোলি উৎসবে।
এছাড়াও নগরের নন্দনকানন তুলসীধাম, লোকনাথ ধাম, আসকার দিঘীর পাড় রামকৃষ্ণ মিশন, ইসকন প্রবর্তক মন্দির, শ্রীকৃষ্ণায়ণ, কৈবল্যধাম, রঘুনাথবাড়ীসহ মন্দিরগুলোতে অনুষ্ঠিত হয়েছে দোলপূজা। সকাল থেকে শুরু হয়ে সারাদিন চলবে এ উৎসব।
প্রবর্তক ইকসন মন্দিরের ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য ডা. দীপ নিমাই দাশ জয়নিউজকে বলেন, শ্রী চৈতন্য জন্মতিথি উপলক্ষে এ দোল উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। দ্বাপর যুগ থেকে পুষ্পরেণু ছিটিয়ে রাধা-কৃষ্ণ দোল উৎসব করতেন। সময়ের বিবর্তনে পুষ্পরেণুর জায়গায় এসেছে ‘আবির’। আজকের এই দিনে বৃন্দবনে হলি উৎসব পালন করা হচ্ছে। বৃন্দবন ছাড়াও ভারতীয় উপমহাদেশে এ উৎসব পালিত হয়।
তিনি আরো বলেন, দোল উৎসব উপলক্ষে প্রবর্তক ইসকন মন্দিরেও উৎসবে আয়োজন করা হয়েছে। সকাল থেকে ভক্তরা আসছেন। সন্ধ্যায় গৌধূলি লগ্নে বিগ্রহের অভিষেক করা হবে।
জয়নিউজ/পিডি