বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়িতে উন্নয়নকাজে অনিয়মের অভিযোগ উঠার পর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মো. সোহেল রানাকে বদলি করা হয়েছে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের অর্থায়নে চলমান উন্নয়নকাজে এ অনিয়মের অভিযোগ উঠে তার বিরুদ্ধে। তবে বদলির পরও বহাল তবিয়তে বসে অফিস করায় ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে স্থানীয়দের মধ্যে।
প্রশাসন ও স্থানীয়রা জানায়, ৫ মার্চ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর এ বদলির আদেশ দেন। কিন্তু রোববার (১৫ মার্চ) পর্যন্ত স্বপদে ছিলেন পিআইও সোহেল রানা।
এঘটনায় স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ ভুক্তভোগী ঠিকাদারদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
এদিকে বদলি ঠেকানোর জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে পিআইও সোহেল রানা। যোগদানের পর থেকে সরকারি উন্নয়নমূলক কাজে অনিয়মসহ বিভিন্ন জনপ্রতিনিধি ও ঠিকাদারদের ঢাকা থেকে তদবির করে কাজ এনে দেওয়ার নামে সুবিধা নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে এ পিআইওর বিরুদ্ধে।
জানা গেছে, পিআইও সোহেল রানা ২০১৯ সালের ১৩ অক্টোবর নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা হিসেবে যোগ দেন। পাঁচ মাসের মাথায় ৫ মার্চ তাকে খুলনা বিভাগের তেরখাদা উপজেলায় বদলির আদেশ দেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর।
অধিদপ্তরের উপসচিব লুৎফর নাহার স্বাক্ষরিত ২৪০ নম্বর স্মারকের ওই অফিস আদেশে ১১ মার্চের মধ্যে বদলিকৃত কর্মস্থলে যোগ না দিলে বর্তমান কর্মস্থল থেকে ওই কর্মকর্তাকে তাৎক্ষনিক কর্মবিমুক্ত বা স্ট্যান্ড রিলিজ করার কথা উল্লেখ রয়েছে।
বদলির তথ্য নিশ্চিত করে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাদিয়া আফরিন কচি জয়নিউজকে বলেন, একটি অফিস আদেশ হয়েছে। বিস্তারিত তিনিই ভালো জানবেন। তবে আজ রোববার (১৫ মার্চ) পিআইও সোহেল রানা অফিস করেছেন।
এ ব্যাপারে প্রকল্প কর্মকর্তার সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে বান্দরবান জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. কামরুল আহসান জয়নিউজকে বলেন, নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা প্রকল্প বায়স্তবায়ন কর্মকর্তার বদলির অফিস আদেশ হয়েছে। অনিয়মের কারণেই তিন মাসের মাথায় বদলি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, অস্বাভাবিক কিছু নয়। বদলির ক্ষেত্রে কিছু একটা তো লিখতে হয়। তবে সে খুলনাতে যেতে চেয়েছিল। সম্ভবত যশোরে বদলি করায় সে যেতে চাচ্ছেনা।
প্রসঙ্গত: নাইক্ষ্যংছড়ির বাইশারীতে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের রাস্তার পুরনো ইট তুলে পিআইও নতুন সড়ক নির্মাণ করা হচ্ছে ঠিকাদার প্রকল্প কর্মকর্তার যোগসাজশে অভিযোগে ঢাকা ও চট্টগ্রামের দৈনিক পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়।