বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানিয়েছেন, করোনাভাইরাসের সঙ্কট মোকাবিলায় সার্ক দেশগুলোর সহযোগিতা এবং সমন্বয় দরকার। আমাদের বিশেষজ্ঞ অভিজ্ঞতাও শেয়ার করা দরকার।
এসময় তিনি প্রয়োজন হলে বাংলাদেশ রসদ সরবরাহ করতে পারে বলে জানান।
রোববার (১৫ মার্চ) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে যোগ দিয়ে আট দেশের রাষ্ট্রপ্রধানদের প্রতি একথা জানান তিনি।
বাংলাদেশ সরকারের নেওয়া নানা পদক্ষেপের কথা সার্কভুক্ত সদস্য দেশগুলোর প্রতিনিধিদের ভিডিও সম্মেলনে তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এখন পর্যন্ত আমাদের দেশে পাঁচজন করোনা সংক্রমিত ব্যক্তি এসেছেন। স্থানীয়ভাবে কোনও সংক্রণের ঘটনা পাওয়া যায়নি।
প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, করোনা মোকাবেলায় কৌশলগত বিষয় নিয়ে আমাদের স্বাস্থ্যমন্ত্রী, স্বাস্থ্যসচিবরাও এ ধরনের সম্মেলনে আলোচনা করতে পারেন। তিনি বলেন, আমি আশা করছি, এ সম্মেলন করোনা মোকাবেলায় আমাদের সবাইকে নতুন পথের দিশা দেবে।
কনফারেন্সের শুরুতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি করোনা মোকাবেলায় বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণের পরামর্শ দেন।
এসময় মোদি বলেন, সার্কের সদস্য দেশগুলোকে সজাগ থাকা দরকার। যদিও আমরা এখন পর্যন্ত ১৫০ জন করোনা আক্রান্ত পেয়েছি। আমাদের প্রস্তুতি নিতে হবে, আতঙ্কিত হওয়া যাবে না। করোনাভাইরাসের লড়াইয়ে আমাদের অবকাঠামোগত স্থাপনার কাজ বাড়ানো হয়েছে।
মোদির পর আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনি ভিডিও কনফারেন্সে যোগ দিয়ে বলেন, ভারত সাংহাই কো-অপারেশনের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য, চীনও এর সদস্য। আমি চীনের অভিজ্ঞতা নেওয়ার জন্য তাদের সঙ্গে আমাদের সমন্বয় বাড়ানোর প্রস্তাব করছি।
করোনাভাইরাস মোকাবেলায় সার্কভুক্ত দেশগুলোর মাঝে একটি সাধারণ টেলি-মেডিসিন কাঠামো গঠনের প্রস্তাব দেন আফগান প্রেসিডেন্ট।
মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহীম মোহাম্মদ সোলিহ বলেন, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে মালদ্বীপ বিভিন্ন ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছে। ভাইরাসের লাগাম টানতে পূর্বসতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়ার উপর গুরুত্বারোপ করাই আমাদের লক্ষ্য।
এরআগে, শুক্রবার একাধিক টুইট বার্তায় করোনা মোকাবিলায় যৌথ উদ্যোগ নিতে সার্কের সদস্য দেশগুলোর নেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
তার এ আহ্বানে সাড়া দিয়ে বাংলাদেশ, পাকিস্তান, নেপাল, শ্রীলঙ্কা, ভুটান, আফগানিস্তান, মালদ্বীপের রাষ্ট্রপ্রধানরা কনফারেন্সে অংশগ্রহণ করেন।