মুজিববর্ষে প্রধানমন্ত্রীকে শেখ হাসিনাকে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য উপহার দিতে চান বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন।
নগরের টাইগারপাস চসিকের অস্থায়ী কার্যালয় এলাকায় দেশের সর্ববহৎ বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যের মাটির অনুকৃতি উন্মোচন অনুষ্ঠানে তিনি এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
সোমবার (১৬ মার্) দুপুরে এই ভাস্কর্য উন্মোচন করেন তিনি।
এ সময় মেয়র বলেন, মুজিববর্ষে জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নতুন প্রজন্মের সঙ্গে পরিচিত ও স্মরণীয় করে রাখতে চসিকের এ উদ্যোগ। আশা করি বঙ্গবন্ধুর এই ভাস্কার্যের কাজ আগামী ১ মাসের মধ্যে সম্পন্ন হবে। এরপর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান (সাবেক পোর্ট কানেকটিং রোড) রোডের বড়পুল চত্বরে স্থায়ীভাবে বসানো হবে এ ভাস্কর্যটি।
তিনি আরো বলেন, বেইজসহ ভাস্কর্যটির উচ্চতা হবে ২৭ ফুট ৬ ইঞ্চি। আর ভাস্কর্যটির উচ্চতা হবে সাড়ে ২২ ফুট। অবকাঠামো তৈরির কাজের সঙ্গে ভাস্কর্য চত্বরটি ফুলের গাছ, বিভিন্ন উদ্ভিদের সমন্বয়ে সজ্জিত করা হবে।
এই ভাস্কর্য তৈরিতে ব্যয় হচ্ছে ৪০ লাখ টাকা এবং ভাস্কর্যের চার পাশে বেদী, সৌন্দর্যবর্ধন ও আনুষাঙ্গিক কাজের জন্য ব্যয় হবে ৪৭ লাখ ৭০ হাজার টাকাসহ সর্বমোট ব্যয় হচ্ছে ৮৭ লাখ ৭০ হাজার টাকা।
প্রসঙ্গক্রমে করোনাভাইরাস সম্পর্কে সিটি মেয়র বলেন, করোনাভাইরাস একধরনের সংক্রামক ভাইরাস। আতংকিত হওয়ার কিছু নেই, সচেতন হলে এ ভাইরাসের প্রতিরোধ করা সম্ভব বলে তিনি উল্লেখ করেন। এ বিষয়ে সচেতন করতে চসিকের উদ্যোগে ১ লাখ লিফলেট নগরবাসীর মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে। তারপরও চসিক সতর্ক রয়েছে। আমরা বীরের জাতি। সবার সহযোগিতায় ঐক্যবদ্ধভাবে সব সংকট মোকাবেলা করতে পারবো, ইনশাল্লাহ।
এ সময় চসিক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সামসুদ্দোহা, প্রধান প্রকৌশলী লে. কর্ণেল সোহেল আহমেদ, চবি চারুকলা ইনস্টিটিউটের সহকারী অধ্যাপক আতিকুল ইসলাম, চবি চারু কলা বিভাগের সাবেক ডিরেক্টর ও আর্টিস্ট কনসালটেন্ট শায়লা শারমিন, নাট্যজন আহমেদ ইকবাল হায়দার, মেয়রের একান্ত সচিব মো. আবুল হাসেম, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম মানিকসহ চসিকের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।