হটলাইন নম্বর: ০১৯৪৪৩৩৩২২২, ০১৯২৭৭১১৭৮৪–৫, ০১৯৩৭০০০০১১, ০১৯৩৭১১০০১১, ০১৫৫০০৬৪৯০১–৫ এবং জাতীয় স্বাস্থ্য বাতায়ন ১৬২৬৩।বিশ্বজুড়ে বাড়ছে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ। দেশের সংবাদমাধ্যমে এ খবর যতই প্রচার হচ্ছে ততই উৎকণ্ঠা বাড়ছে মানুষের। তবে সরকারি নির্দেশনায় বলা হয়েছে, জ্বর-ঠাণ্ডা-কাশি হলেই হাসপাতালে যাওয়ার প্রয়োজন নেই।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাংলাদেশে সাধারণত এপ্রিল থেকে মৌসুমি ইনফ্লুয়েঞ্জা শুরু হয়, শেষ হয় সেপ্টেম্বরে। কিন্তু এবছর এটি একটু আগেভাগেই শুরু হয়ে গেছে। তাই অনেকের সাধারণ জ্বর, সর্দি, কাশি ও গলাব্যথা হচ্ছে। ভয়ের কারণে কেউ কেউ মনে করছেন, এটি হয়ত করোনাভাইরাসের সংক্রমণ।
এ অবস্থায় বাড়িতে থাকার কথা বলছেন বিশেষজ্ঞরা। হাসপাতালে ছুটোছুটি না করে চিকিৎসা নিতে বলছেন আশপাশে থাকা চিকিৎসকের কাছ থেকে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাসের আক্রান্তদের মধ্যে তিনটি লক্ষণ দেখা যাচ্ছে। লক্ষণগুলো হলো- জ্বর, শুকনো কাশি এবং দুর্বলতা। এই তিনটি লক্ষণ থাকলে তবেই যোগাযোগ করতে হবে আইইডিসিআরে।
আইইডিসিআর রোগীকে পরামর্শ দিবে। প্রয়োজনে রোগীর বাসায় গিয়ে নমুনা সংগ্রহ করবে। যোগাযোগ করতে পারেন ০১৯৪৪৩৩৩২২২, ০১৯২৭৭১১৭৮৪–৫, ০১৯৩৭০০০০১১, ০১৯৩৭১১০০১১, ০১৫৫০০৬৪৯০১–৫ এবং জাতীয় স্বাস্থ্য বাতায়ন ১৬২৬৩ নম্বরে। এছাড়া ই-মেইলেও আইইডিসিআরে যোগাযোগ করা যায় (iedcrcovid19@gmail.com)।
ইতোমধ্যে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ৫৬ হাজার রোগীর উপর একটি জরিপ চালিয়েছে। ওই জরিপে উঠে আসে তিনটি বিষয়।
১) করোনা আক্রান্তদের মধ্যে ৬ শতাংশ কঠিনভাবে অসুস্থ হয়। তাদের ফুসফুস বিকল হওয়া, সেপটিক শক, অঙ্গ বৈকল্য এবং মৃত্যুর শঙ্কা তৈরি হয়।
২) তীব্রভাবে উপসর্গ দেখা যায় ১৪ শতাংশের মধ্যে । তাদের মূলত শ্বাস প্রশ্বাসে সমস্যা তৈরি হয়।
৩) হালকা উপসর্গ দেখা যায় ৮০ শতাংশের মধ্যে। তাদের জ্বর, কাশি ছাড়াও কারো কারো নিউমোনিয়ার উপসর্গ দেখা যেতে পারে।
জয়নিউজ