বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া মহামারি করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা ১৬ হাজার ৫১৪ জন দাঁড়িয়েছে। আক্রান্তের সংখ্যা তিন লাখ ৭৮ হাজার ৮৫৯ জন। ইতোমধ্যে বিশ্বের ১৯৫টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে এই ভাইরাস। সুস্থ হয়েছেন এক লাখ দুই হাজার ৬৯ জন।
সোমবার (২৩ মার্চ) বাংলাদেশ সময় দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে জরিপ পর্যালোচনাকারী সংস্থা ওয়ার্ল্ড ওমিটার এ তথ্য জানিয়েছে।
চীন: জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশনের (এনএইচসি) তথ্য অনুযায়ী, সোমবার (২৩ মার্চ) চীনে আরো ৭ জন মারা গিয়েছেন। চীনে এ পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা তিন হাজার ২৭৭ জন। করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৮১ হাজার ১৭১ জন। এর মধ্যে মোট ৭৩ হাজার ১৫৯ জন রোগী সুস্থ হয়েছেন।
চীনের বাইরে সবচেয়ে বেশি আক্রান্তের সংখ্যা ইতালি। রোববার একদিনই রেকর্ড ৬০১ জন মারা গেছেন। এ নিয়ে দেশটিতে মোট মৃতের সংখ্যা ছয় হাজার ৭৭ জনে দাঁড়িয়েছে। এর মধ্যে মোট সাত হাজার ৪৩২ জন রোগী সুস্থ হয়েছেন। এ পর্যন্ত মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৬৩ হাজার ৯২৭ জন। বর্তমানে ৩ হাজার ২০৪ জন আইসিইউতে আছেন।
যুক্তরাষ্ট্র; মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দেশটিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৫৩ জনে। দেশটিতে ইতোমধ্যে ৪৩ হাজার ৭৩৪ জন আক্রান্ত হয়েছেন। সুস্থ হয়েছেন এক হাজার ২৯৫ জন।
স্পেন: আক্রান্তের সংখ্যা ৩৫ হাজার ছাড়িয়েছে। নতুন করে আক্রান্ত হয়েছে ছয় হাজার ৩৬৮ জন। স্পেনে একদিনে মারা গেছে ৫৩৯ জন। সব মিলিয়ে মৃত বেড়ে দাঁড়িয়েছে দুই হাজার ৩১১ জন। সুস্থ হয়েছেন তিন হাজার ৩৫৫ জন।
জার্মানি: মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দেশটিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২৩ জনে। দেশটিতে ইতোমধ্যে ২৯ হাজার ৫৬ জন আক্রান্ত হয়েছেন। সুস্থ হয়েছেন ৪৫৩ জন।
ইরান: মোট ২৩ হাজার ৪৯ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এখন পর্যন্ত এক হাজার ৮১২ জন মারা গেছেন। সুস্থ হয়েছেন আট হাজার ৩৭৬ জন সুস্থ হয়েছেন।
ফ্রান্স: করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দেশটিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮৬০ জনে। দেশটিতে ইতোমধ্যে ১৯ হাজার ৮৫৬ জন আক্রান্ত হয়েছেন। সুস্থ হয়েছেন দুই হাজার ২০০ জন।
অন্য দেশগুলোর মধ্যে দক্ষিণ কোরিয়া ১১১, সুইজারল্যান্ড ১২০, যুক্তরাজ্য ৩৩৫, নেদারল্যান্ড ২১৩, অস্ট্রিয়া ২১, বেলজিয়াম ৮৮, নরওয়ে ১০, কানাডা ২৪, পর্তুগাল ২৩, সুইডেন ২৭, ব্রাজিল ৩৪, মালয়েশিয়া ১৪, জাপান ৪২, ইরাক ২৩, পাকিস্তান ৬, ভারত ১০ ও বাংলাদেশে ৩ জন মারা গেছেন।
প্রসঙ্গত, গত ডিসেম্বরে চীনের উহান শহরে করোনাভাইরাসের আবির্ভাব ঘটে। প্রতিনিয়ত এই ভাইরাসে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। এখনো কোনো টিকা বা প্রতিষেধক আবিষ্কার করতে পারেনি বিশ্ব স্বাস্থ্যসংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
এ রোগের কোনো উপসর্গ যেমন জ্বর, গলা ব্যথা, শুকনো কাশি, শ্বাসকষ্ট, শ্বাসকষ্টের সঙ্গে কাশি দেখা দিলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। জনবহুল স্থানে চলাফেরার সময় মাস্ক ব্যবহার করতে হবে এবং পোষা প্রাণির সংস্পর্শ এড়িয়ে যেতে হবে। বাড়িঘর পরিষ্কার রাখতে হবে। বাইরে থেকে ঘরে ফিরে এবং খাবার আগে সাবান দিয়ে হাত পরিষ্কার করতে হবে। এছাড়া খাবার ভালোভাবে সিদ্ধ করে খেতে হবে।