নোভেল করোনাভাইরাস সংক্রমণ ইস্যুকে কেন্দ্র করে হাটহাজারীতে জীবাণুনাশক হ্যান্ড স্যানিটাইজার দুইশ টাকার পরিবর্তে বিক্রি হচ্ছে সাড়ে ৩ শ’ টাকায়। বেশি দামে বিক্রি করার অপরাধে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
মঙ্গলবার (২৪ মার্চ) দুপুরে পৌরসভা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুহুল আমিনের এক অভিযানে স্থানীয়দের এমন অভিযোগের সত্যতা মিলে।
জানা যায়, করোনার ব্যাপকতা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে উপজেলার ১৪টি ইউনিয়ন ও পৌরসভায় ওষুধের দোকানগুলোতে জীবাণুনাশক পণ্য হ্যান্ড স্যানিটাইজারের বিক্রি ব্যাপক হারে বেড়ে গেছে।
এর ফলে বর্তমানে ওষুধের দোকানগুলোকে সংকট তীব্র আকার ধারণ করেছে। কোনো কোনো দোকানে তা আর মিলছেই না।
স্থানীয় ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, গত দুইদিন থেকে হাটহাজারী সদর ও বিভিন্ন ইউনিয়নের ওষুধের দোকানগুলোতে হ্যান্ড স্যানিটাইজারের খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। যদিও পাওয়া যায় তবে তা চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে। ফলে বিত্তবানরা এসব জীবাণুনাশক হ্যান্ড স্যানিটাইজার কিনতে পারলেও হতদরিদ্ররা কিনতে হিমশিম খাচ্ছে।
জানতে চাইলে একাধিক ফার্মেসি মালিক জয়নিউজকে বলেন, করোনার ব্যাপকতা বৃদ্ধির কারণে হ্যান্ড স্যানিটাইজারের চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে কোম্পানির নিকট সরবরাহের অর্ডার দিলেও তারা চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহ করতে পারছে না। ফলে ইচ্ছা থাকলেও লোকজন জীবাণুনাশক হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ক্রয় করতে পারছে না।
জানা যায়, বর্তমান সংকটকে পুঁজি করে ওই এলাকায় দরবার ফার্মেসি নামে একটি ওষুধের দোকানে হ্যান্ড স্যানিটাইজারের বোতলের গায়ের মূল্যও মুছে ২শ’ টাকার হ্যান্ড স্যানিটাইজার সাড়ে ৩ শ’ টাকা বা তারও বেশি দামে বিক্রি করছেন। বেশি দামে বিক্রি করার অপরাধে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করে ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় ২৮টি হ্যান্ড স্যানিটাইজার জব্দ করা হয় এবং তার কাছ থেকে মুচলেকা নেওয়া হয়। পরে জব্দকৃত হ্যান্ড স্যানিটাইজার বিভিন্ন ইউনিয়ন পর্যায়ে করোনা নিয়ে কাজ করা গ্রাম পুলিশ সদস্যদের কাছে বিতরণ করা হয়।