কক্সবাজারে করোনাভাইরাস প্রকোপ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্যে স্থানীয় জনসাধারণকে হোম কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করতে মাঠে নেমেছে সেনাবাহিনী।
বুধবার (২৫ মার্চ) রোহিঙ্গা ক্যাম্পসহ কক্সবাজারের পাঁচ উপজেলায় হোয়েরেন্টাইন নিশ্চিত করতে কাজ করছে রামু সেনানিবাসের ১০ পদাতিক ডিভিশনের চিকিৎসাদলসহ সেনাসদস্যরা।
সেনাবাহিনী সূত্রে জানা গেছে, বুধবার সকাল থেকেই টহল কার্যক্রম শুরু করেছে। কোনো জায়গায় বেশি লোকজন যেন সমবেত হতে না পারে, সবাই যেন নির্দিষ্ট সামাজিক দূরত্ব মেনে চলাফেরা করে এবং যথাযথভাবে সরকারি নির্দেশনাসমূহ মেনে চলে সেনাবাহিনী এ বিষয়গুলো নিশ্চিত করবে।
প্রশাসনের তালিকা অনুযায়ী হোম কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিতের কাজে বেসামরিক প্রশাসনকে সহযোগিতা করবে সেনাবাহিনী। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত কোনো রোগী পাওয়া গেলে তাদের চিকিৎসার ক্ষেত্রেও সেনাবাহিনী সর্বাত্মক সহযোগিতা দিবে।
এছাড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্প এলাকায় সেনাবাহিনীর পর্যাপ্তসংখ্যক নতুন চেকপোস্ট স্থাপন ও টহল কার্যক্রম বৃদ্ধি করা হয়েছে। সীমিত করা হয়েছে বহিরাগতদের চলাচল।
জানা গেছে, বুধবার সকাল থেকে জেলার বিভিন্ন এলাকায় সেনাবাহিনী মাঠে নামার পর থেকেই সাধারণ মানুষের বাইরে আসার প্রবণতা কমে এসেছে। রাস্তাঘাটে খুব কম সংখ্যক মানুষের উপস্থিতি দেখা যাচ্ছে। অনেক এলাকা প্রায় জনমানবশূন্য। সমুদ্র সৈকতসহ পর্যটন কেন্দ্রগুলোও জনমানব শূন্য অবস্থায় দেখা গেছে। জেলার রাস্তাঘাট প্রায় ফাঁকা হয়ে পড়েছে। সেনাসদস্যরা মাইকিং করে, লিফলেট বিতরণ করে বাইরে অবস্থানরত লোকদের ঘরে ফিরে যাওয়ার জন্য তাগিদ দিচ্ছেন।