চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের তিন কর্মকর্তাসহ ১৬ জন আমরা সুস্থ এবং কোয়ারেন্টাইনে আছি।
বুধবার (২৫ মার্চ) পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক নারায়ণ চন্দ্র নাথ এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, রোববার (২২ মার্চ) সকালে করোনাভাইরাস আক্রান্ত মায়ের সংস্পর্শে থেকে চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের এক বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন কক্সবাজার সরকারি কলেজের একজন অধ্যক্ষ। শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান প্রদীপ চক্রবর্তীর কক্ষে অনুষ্ঠিত বৈঠকে আমি কলেজ পরিদর্শক জাহেদুল হক এবং কক্সবাজার অঞ্চলের বিভিন্ন কলেজের অধ্যক্ষ-উপাধ্যক্ষ মিলিয়ে ১৩ জন বৈঠকে ছিলাম। তখনো এইচএসসি পরীক্ষা বাতিলের ঘোষণা করা হয়নি। সেই কারণে আমরা এ মিটিং করেছিলাম।
যদি কোনো কারণে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হতো তাহলে তো সমস্যা হয়ে যেতো। সেই কথা মাথায় রেখে আমরা বৈঠক করেছিলাম। আর এখানে তো প্রতিদিন ছাত্রছাত্রীরা তো আসছে। যে রেজিস্ট্রেশন কার্ড কখন দিবে বা অন্য খবরাখবর নিতে।
তিনি আরো বলেন, আর তিনি নিজেও জানতেন না তার মা করোনা রোগে আক্রান্ত। বয়স্ক মানুষ যেকোনো অসুখ হতে পারে। আর তিনি যদি মায়ের অসুস্থতার বিষয়টি জানাতেন তাহলে আমরা উনাকে মিটিংয়ে আসতে দিতাম না। তিনি আসতে চাইলেও আমরা আসতে দিতাম না।
তিনি আরো বলেন, চেয়ারম্যানের কক্ষে বৈঠকের সময় সবার মধ্যে নিরাপদ দূরত্ব ছিল। তিন থেকে পাঁচ ফুট দূরত্বে প্রতিটি চেয়ার বসানো হয়েছিল। চেয়ারম্যানসহ বোর্ডের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে আসা কেন্দ্র কর্মকর্তাদের দূরত্ব ছিল প্রায় ১৫ থেকে ২০ ফুট। তাছাড়া বৈঠকে আসা সবাইকে কক্ষে ঢোকার আগে সাবান ও হ্যান্ডওয়াশ দিয়ে হাত ধোয়ানো হয়। কক্ষে ঢোকার পরও হাতে স্যানিটাইজার দেওয়া হয়। এরপর আমরা বৈঠক করি।
পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক আরো বলেন, ভয়ের কিছু নেই। কিছু হবে না। তারপরও আমরা তো কোয়ারেন্টাইনে আছি। কাল বৃহস্পতিবার থেকে তো সব বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। আমরা তো আর বাসা থেকে বের হব না।