বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের সবচেয়ে বড় বাজার হচ্ছে ইউরোপ ও আমেরিকা। কিন্তু করোনাভাইরাসের বৈশ্বিক এ দুর্যোগে বিশ্ববাজার আজ লকডাউন। ইউরোপের অধিকাংশ দেশসহ আমেরিকার মানুষ আজ ঘরবন্দী।
এরফলে ইউরোপ আমেরিকার ক্রেতা প্রতিষ্ঠানগুলো একের পর এক বাতিল করছে তাদের জন্য পোশাক তৈরির আদেশ। প্রায় ৯০ শতাংশ পোশাক কারখানার রপ্তানি আদেশ বাতিল অথবা স্থগিত করেছে বলে জানিয়েছে মালিকরা। প্রতিদিনই বাড়ছে এর পরিমাণ।
এতে শঙ্কিত হয়ে পড়েছে পোশাক কারখানা মালিকরা। তারা বলছেন, করোনার কারণে চট্টগ্রামের পোশাক শিল্পোদ্যোক্তাদের ক্ষতি ১০ কোটি ডলার ছাড়িয়ে যাবে। শুক্রবার (২৭ মার্চ) সকাল পর্যন্ত ৯৫৯ পোশাক কারখানার ২৬৭ কোটি ডলারের অর্ডার বাতিল কিংবা স্থগিত হয়েছে।
এ পরিস্থিতি দীর্ঘমেয়াদি হলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে শ্রমিকরা। ১২ লাখ শ্রমিকের চাকরি হারানোর আশঙ্কা রয়েছে। এই বাস্তবতায় পোশাক খাতকে টিকিয়ে রাখতে জরুরি পদক্ষেপ নিতে হবে।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, করোনার কারণে দেশের অর্থনীতিতে যে মন্দাভাব তৈরি হয়েছে তা কাটিয়ে উঠতে এখনই সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা নিতে হবে সরকারকে।
বিজিএমইএর সূত্রে জানা গেছে, বিজিএমইএ’র সদস্যভুক্ত ২৭টি পোশাক কারখানার রপ্তানি আদেশ স্থগিত হয়েছে। একেবারে বাতিল হয়েছে ২০টি কারখানার রপ্তানি।
মেলো ফ্যাশন লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম সাইফউল্লাহ মনসুর বলেন, ‘গত মাসে কাপড়ের জন্য প্রডাকশনে যেতে পারিনি। এখন কাপড় এসেছে তবে এখনও প্রডাকশনে যেতে পারছি না। কারণ বায়ার শিপমেন্ট ডেট দিতে পারছে না।’
বিজিএমইএ প্রথম সহসভাপতি মো. আব্দুস ছালাম জানান, ‘আমরা বায়ারদের সঙ্গে যোগাযোগ করছি তারা যেন অর্ডার বাতিল বা স্থগিত না করে। সরকারের কাছে আমরা লিস্ট দিচ্ছি কতো অর্ডার স্টক নোট হতে পারে। তাই একটা দীর্ঘমেয়াদি আর্থিক সহায়তা দরকার। এই দীর্ঘ মেয়াদি আর্থিক সহায়তার জন্য আমরা বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে এপ্রোচ করেছি।’