চট্টগ্রামের মন্ত্রী এমপিরা যখন হোম কোয়ারেন্টাইনে তখন ব্যতিক্রম শুধু চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন। করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় শুরু থেকে কাজ করে যাচ্ছেন তিনি। গত ১১ দিন নগরের একপ্রান্ত থেকে অন্যপ্রান্তে ছুটে গেছেন, ছিটিয়েছেন ব্লিচিং পাউডার মিশ্রিত পানি। মাইকিং করেছেন মোড়ে মোড়ে।
মেয়র নাছিরের ১১ দিনের কর্মকাণ্ড তুলে ধরা হলো জয়নিউজ পাঠকদের জন্য।
প্রথম দিন- নগরবাসির মাঝে সাবান বিতরণ
দ্বিতীয় দিন- হ্যান্ড স্যানিটাইজার বিতরণ
তৃতীয় দিন- নিজেই পুরো নগর ঘুরে ঘুরে সচেতনতামূলক মাইকিং
চতুর্থ দিন- চট্টগ্রামে কেউ করোনা আক্রান্ত হলে তাদের চিকিৎসার সমস্ত দায়িত্ব নেওয়ার ঘোষণা
পঞ্চম দিন- ৪১টি ওয়ার্ডে জীবানুনাশক স্প্রেকরণ এবং চুয়েট ও চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ছাত্রদের যৌথ উদ্যোগে তৈরীকৃত অটোমেটেড হ্যান্ড স্যানিটাইজার উদ্বোধন ও স্থাপন
ষষ্ঠ দিন- শহরের ৩ কিলোমিটার রাস্তা নিজে হেঁটে হেঁটে জীবানুনাশক পানি ছিটানো
সপ্তম দিন এবং অষ্টম দিন- পরিচ্ছন্নতা কর্মী ও সেবকদের সাহস দিতে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ, জেনারেল হসপিটালসহ নগরের বিভিন্ন জায়গায় উপস্থিত থেকে নিজেই জীবানুনাশক কার্যক্রম পরিচালনা এবং বিভিন্নস্থানে কর্মহীন মানুষের মাঝে খাবার বিতরন
নবম দিন- জুমার নামাজের আগে বিভিন্ন মসজিদে নিজে উপস্থিত থেকে জীবানুনাশক কার্যক্রম পরিচালনা
দশম দিন- নগরের ৪১ টি ওয়ার্ডে কর্মহীন মানুষের জন্য চাল, ডাল, তেল সহ নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী ঘরে ঘরে পৌঁছে দেওয়া এবং বিভিন্নস্থানে কর্মহীন, অভুক্ত, অসহায় মানুষের হাতে নগদ অর্থ সাহায্য দেওয়া একইসাথে নগরীর মেমন মাতৃসদন ও বিভিন্ন আবাসিক এলাকায় জীবানুনাশক কার্যক্রম পরিচালনা।
১১তম দিন- নিজ ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান থেকে ৩০০০ শ্রমজীবী পরিবারকে খাদ্য সামগ্রী সরবরাহ।
শুধু ১১দিন নয়, আগামী দিনগুলোতে নগরবাসীর জন্য সর্বোচ্চ করার ঘোষণা দিয়েছেন মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন। রাজনীতির উর্ধ্বে উঠে রাজনৈতিক নেতাকর্মী ও বিত্তবানদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।