করোনাভাইরাসে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা রোগিদের প্রয়োজনীয় সেবা নিশ্চিতকরণে ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের হ্যান্ড হেল্ড ইনফ্রারেড থার্মোমিটার ও পিপিই সরঞ্জাম দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন।
করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধ ও মোকাবেলায় করণীয় নির্ধারণে সোমবার (৩০ মার্চ) চসিক সম্মেলন কক্ষে কাউন্সিলরদের সঙ্গে সমন্বয় বৈঠকে একথা জানান তিনি।
বৈঠকে নগরে বিদেশফেরতদের হোম কোয়ারেন্টাইন মনিটরিং ও জনসাধারণের কাছে সরকারি সহায়তার সরবরাহ নিশ্চিতকরণের প্রসঙ্গ নিয়ে আলোচনা হয়।
সভায় মেয়র নাছির বলেন, করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিতের জন্য জনপ্রতিনিধিদেরকে আন্তরিকভাবে কাজ করতে হবে। যারা হোম কোয়ারেন্টাইনে আছেন তাদের বাড়ি মার্কিং ও প্রয়োজনে সঠিকভাবে নির্দেশনা মেনে চলছেন কি-না তা মনিটরিং করার আহ্বান জানান।
তবে তিনি আরো জানান, কাউন্সিলরদের জন্য চসিকের পক্ষ থেকে আন্তর্জাতিকমানের পিপিই আনা হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে তা পৌঁছে দেওয়া হবে।
মেয়র বলেন, প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে গৃহিত কর্মসূচি (এলআইইউপিসি) প্রকল্পের আওতায় ২১টি ওয়ার্ড ও চসিকের পক্ষ থেকে বাকি ২০টি ওয়ার্ডে বরাদ্দ সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। এ কার্যক্রমের আওতায় নগরের ১ লাখ ১৪ হাজার পরিবারের মাঝে সাবান, বালতি, মাস্ক, ৮৪ হাজার স্যানিটাইজার বিতরণসহ ৩শ’ ৮৪টি স্পটে হাত ধোয়ার কল স্থাপন করা হবে।
চসিক সূত্রে জানা গেছে, সরকারিভাবে প্রাপ্ত ২০ মেট্রিক টনের চাল বরাদ্দ পাওয়া গেছে। ইতোমধ্যে চসিকের পক্ষ থেকে প্রতিটি ওয়ার্ডে ৪শ ৮৮ কেজি চাল ও ১শ কেজি ডাল নগরবাসীর মাঝে বিতরণের জন্য দেওিয়া হয়েছে।
সভায় চসিক পরিচ্ছন্নকর্মীদের জন্য ৪ হাজার হ্যান্ড গ্লাভস বিতরণ করারও সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়।
এদিকে মেয়রের নির্দেশনায় জীবাণুনাশক পানি ছিটানো কার্যক্রমের আওতায় পঞ্চম দিনে নগরের খাতুনগঞ্জ, কোরবানীগঞ্জ, বাগমনিরাম, গোসাইলডাঙ্গা ও উত্তর কাট্টলীতে প্রায় ৫০ হাজার লিটার পানি ছিটানো হয়েছে বলে জানা গেছে।