সারাবিশ্বে প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে মানুষ। প্রতিদিন বিশ্বের বিভিন্ন দেশ বিশেষ করে ইউরোপের দেশগুলো ও আমেরিকায় করোনা আক্রান্ত আর মৃত্যুর সংখ্যা দুই বাড়ছে। অনেক বিশেষজ্ঞই বলছেন তাপমাত্রার বাড়লে করোনা ভাইরাস মারা যাবে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও একই কথা বলেছেন। তবে আবার অনেক বিশেষজ্ঞর মত ৭০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা পর্যন্ত করোনা ভাইরাস বেঁচে থাকতে পারে।
কিন্তু একথা অস্বীকার করার উপায় নেই যে, শীত প্রধান দেশ অথবা ঠাণ্ডা আবহাওয়ার এলাকাগুলোতে এই ভাইরাসের আক্রমণে মৃত্যুর হার বেশি। ইতালি, আমেরিকা, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, স্পেন, ইরানের দিকে দৃষ্টি রাখলেই বোঝা যাবে। এতে আত্মতুষ্টিরও আবার কারণ নেই। কারণ গরমের দেশগুলোতেও হানা দিয়েছে করোনা।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনা নতুন এবং এমন একটি ভাইরাস যার গতিবিধি এখনো সঠিকভাবে ঠাহর করা যাচ্ছে না। তাই ঠাণ্ডা গরমের হিসেব না কষে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরামর্শগুলো মেনে চলতে হবে। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা, যতটুকু সম্ভব ঘরে থাকা জরুরী।
এদিকে ঋতু বদলের দোলায় কয়েকদিন ধরে দেশে চলছে মৃদু তাপদাহ। রৌদের খরতাপে দিনের তাপমাত্রা বাড়ছেই।
আবহাওয়া অধিদফতরের বার্তায় জানানো হয়েছে, দেশের ওপর দিয়ে বর্তমানে তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। সেটা এ সপ্তাহের শেষ নাগাদ অব্যাহত থাকবে। সঙ্গে আবহাওয়াও শুষ্ক থাকবে। পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। আর মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ অবস্থান করছে দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে।
ফলে দেশের ফরিদপুর, সীতাকুন্ড, রাঙ্গামাটি ও কক্সবাজার অঞ্চলসমূহের উপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এটা অব্যাহত থাকতে পারে। এই অবস্থায় আবহাওয়াও শুষ্ক থাকবে।
মঙ্গলবার (৩১ মার্চ) সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকবে। আর রাতের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পাবে।
আবহাওয়া সামান্য পরিবর্তন হবে বুধবার (১ এপ্রিল) নাগাদ। আর আগামী সপ্তাহের শুরুতে বৃষ্টিপাতের আভাস রয়েছে। সারাদেশেই তাপমাত্রা গড়ে ৩৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।