জয়নিউজবিডি ডেক্স: সিরিজে প্রথম ম্যাচ জিতে এগিয়েই ছিল বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ম্যাচে উইন্ডিজদের বাগে পেয়েও ৩রানে ম্যাচ হেরে সিরিজ জয়ের সহজ সুযোগ হেলায় হারায় বাংলাদেশ। আজ ২৮জুলাই সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় ফাইনালে রূপ নেয়া শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে সেন্ট কিটসে উইন্ডিজের মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ।
শেষে খবর পাওয়া পর্যন্ত টস জিতে ব্যাটিং করছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ টিমে অপরির্বতিত থাকলে ও উইন্ডিজ টিমে জেসন মাহমুদের পরির্বতে দলে এসেছে কাইরেন পাওয়েল, আলজিরো যোশেফ এর পরিবর্তে শ্যেলডন কটরেল।
টেস্ট সিরিজে হোয়াইটওয়াশের হতাশা কাটিয়ে স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজটি দারূণভাবেই শুর করেছিল বাংলাদেশ। প্রথম ম্যাচে স্বাগতিকদের হারিয়েছিল ৪৮ রানে।
আগের ম্যাচের ভুল শুধরে সিরিজ জয়ের লক্ষ্যেই এ ম্যাচে গেইল-হোল্ডারদেরদের বিপক্ষে মাঠে নামছেন মাশরাফি-সাকিবরা। সিরিজের প্রথম দু’টি ম্যাচ গায়ানায় হলেও সিরিজ নির্ধারণী তৃতীয় ম্যাচটি হচ্ছে সেন্ট কিটসে। গায়ানা ছেড়ে বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় গভীর রাতেই সেন্ট কিসটে পৌঁছায় বাংলাদেশ দল।
ভ্রমণক্লান্তির কারণে শুক্রবার দুপুরে ছিল ঐচ্ছিক অনুশীলন। তবে টিম ম্যানেজমেন্ট সূত্রে জানা গেছে, ঐচ্ছিক হলেও দলের অধিকাংশ ক্রিকেটার অনুশীলনে উপস্থিত ছিলেন। আর নতুন শহরে এসেছেন বলে দ্বিতীয় ওয়ানডের পর তৈরি হওয়া গুমোট ভাবটাও নাকি কেটে গেছে।
বাংলাদেশ দলের আরও একটি ভরসার জায়গা হলো, দলের পাঁচ সিনিয়র ফর্মে আছেন। প্রথম ওয়ানডের পর দ্বিতীয় ম্যাচেও রান পেয়েছেন সাকিব, তামিম ও মুশফিক। মাহমুদুল্লাহও চমৎকার ছন্দে আছেন। বোলিংয়েও মাশরাফি, সাকিব, মিরাজরা ভালোই পারফর্ম করছেন। তবে এনামুল হক বিজয় ও সাব্বির রহমান এখনও সেভাবে নিজেদের মেলে ধরতে পারেননি।
বাংলাদেশের জন্য একটি সস্তির খবর হলো, গায়ানার মতো সেন্ট কিটসের ওয়ার্নার পার্কের উইকেটও স্পিনবান্ধব। ২০০৬ সালে যাত্রা শুরু হওয়া এ মাঠে উপমহাদেশীয় স্পিনারের দাপট বেশি দেখা গেছে। তবে এখানে প্রচুর রান হয়। এ মাঠে ৩শ’র বেশি ইনিংস আছে সাতটি। সিরিজ জিততে শেষ ম্যাচে তাই গুরুদায়িত্বটা ব্যাটসম্যানদেরই নিতে হবে।