করোনা পরিস্থিতিতে গ্রামেই বেড়েছে মানুষের ভিড়। খেটে খাওয়া মানুষের কাজ বন্ধ থাকায় সময় কাটানো ও টেলিভিশনের সংবাদ শোনার জন্য তারাও সকাল-বিকাল চায়ের স্টলে ভিড় করছেন। কাজ নেই তাই প্রয়োজনে হোক আর অপ্রয়োজনে হোক, চা স্টলে টেলিভিশন দেখে দেখে আড্ডা ছাড়া যেন দিন কাটে না। এ টেলিভিশনই গ্রামের মানুষকে ঘর থেকে বের করে চায়ের দোকানে আনছে বলে মনে করছেন হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রুহুল আমিন।
তাই মঙ্গলবার (৩১ মার্চ) থেকে উপজেলার প্রত্যেক ইউনিয়নের হাটবাজারের চায়ের দোকান থেকে টেলিভিশনগুলো স্ব-স্ব ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে জমা দেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন তিনি।
পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে টেলিভিশনগুলো যার যার দোকানে আবার নিয়ে আসাতে পারবে এবং সব ইউনিয়ন পরিষদকে এ উদ্যোগ বাস্তবায়নের অনুরোধ জানান তিনি।
এ ব্যাপারে ইউএনও জয়নিউজকে বলেন, দেশে করোনাভাইরাস প্রতিরোধের অংশ হিসেবে সরকারি-বেসরকারি অফিস ও আদালত বন্ধ রেখেছে সরকার। মানুষকে ঘরে রাখতেই এই আয়োজন সরকারের। অথচ প্রশাসন নানামুখী সচেতনতামূলক প্রচার-প্রচারণা চালালেও সচেতন হচ্ছেনা গ্রামের মানুষ।
এদিকে, মঙ্গলবার (৩১ মার্চ)এ ঘোষণার প্রথম দিনেই ছিপাতলী ইউনিয়নের বোয়ালিয়া মুখ, ইসলামিয়া হাট, ঈদগাহ স্কুল, লাল মোহাম্মদ ব্রিজের পাশে, গাউছিয়া মাদ্রাসা এলাকা সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করার স্বার্থে কয়েকটি টেলিভিশন চায়ের দোকান থেকে সরিয়ে নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদের জিম্মায় নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।