দেশের রপ্তানিমুখী শিল্প খাতের শ্রমিকদের বেতন-ভাতা দিতে প্রস্তাবিত তহবিলের সুদ নির্ধারণ প্রক্রিয়া আরো শিথিল করা হবে।
অর্থ মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্র জানায়, ২ শতাংশ হারে একবারই সুদ আরোপ করা হবে। অর্থাৎ সরল সুদের ফর্মুলা বাদ দিয়ে ২ শতাংশ ফি হিসেবে একবারে যে সুদ আসবে সেটা ছয় মাসের গ্রেস পিরিয়ডসহ ১৮ মাসের কিস্তিতে ভাগ করে আদায় করা হবে। এতে সরল সুদে দুই বছরে যে সুদ আসত, সেটা একবার আরোপের ফলে তা অর্ধেকে নেমে আসবে। উদ্যোক্তাদের চাপ কিছুটা লাঘবে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে ২৫ মার্চ জাতির উদ্দেশে এক ভাষণে রপ্তানিমুখী শিল্প খাতের শ্রমিকদের বেতন-ভাতা দিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পাঁচ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা তহবিল গঠনের ঘোষণা দেন। সেই তহবিল নিয়ে কয়েক দিন ধরে বিভিন্ন মহলে নানা জল্পনা চলছে। এরই মধ্যে সরকার থেকে জানানো হয়েছে, এই তহবিল থেকে অর্থ পেতে গুনতে হবে ২ শতাংশ সরল সুদ।
কিন্তু সেটা ওয়ান টাইম বা একবারই আরোপ করা হলে তা ১০০ কোটিতে নেমে আসবে। তবে যেহেতু এই সুদ-আসল ফেরত দিতে মালিকরা সময় পাবেন দুই বছর, ফলে প্রকৃতপক্ষে সুদের হার হবে ১ শতাংশ। অর্থাৎ ১ শতাংশ সরল সুদে ঋণ পাবেন উদ্যোক্তারা। এ তহবিল গঠনের বিষয়ে মঙ্গলবার অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকে একটি চিঠি পাঠানো হয়। ওই চিঠিতেও ২ শতাংশ সরল সুদ আরোপের প্রস্তাব করা হয়। তবে গতকাল বুধবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে দেশের অর্থনীতিতে করোনাভাইরাসের প্রভাব মোকাবেলায় করণীয় শীর্ষক আন্ত মন্ত্রণালয় বৈঠকে এ তহবিলের ঋণে ২ শতাংশ সুদ একবারই আরোপের সিদ্ধান্ত হয়েছে, যা সার্ভিস চার্জ হিসেবে ঋণগ্রহীতা প্রতিষ্ঠানের মালিকদের বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে দিতে হবে।
জয়নিউজ/পিডি