হাটহাজারীর ৩নং মির্জাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নুরুল আবছারের বিরুদ্ধে ত্রাণ বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ এনেছেন ইউনিয়নটির ৮ ইউপি সদস্য (মেম্বার)। এনিয়ে তাঁরা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) রুহুল আমিনের কাছে অনাস্থা জানিয়ে শনিবার (৪ এপ্রিল) চিঠি দেস। চিঠিতে ইউপি সদস্যরা চেয়াম্যানের বহিষ্কারও দাবি করেন।
অনাস্থা প্রস্তাব আনা এই আট ইউপি সদস্য হলেন- গাজী মো. আলী হাসান, মো. নুরুল ইসলাম, মো. জাকির হোসেন, মো. আলী, মো. আবদুল লতিফ, লাকি আকতার. জালাল আহমেদ ও সাজেদা ইয়াসমিন।
চিঠিতে আট ইউপি সদস্য উল্লেখ করেন, চেয়ারম্যান ইউপি সদস্যদের না জানিয়ে রেজুলেশনের মাধ্যমে বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ড করছেন বলে অভিযোগ করা হয়।
চিঠিতে বলা হয়, পার্সেন ইউনিয়ন পরিবারের হিসাবপত্র এবং এলজিএসপি ও এজিপিসহ বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে ইউপি সদস্যদের না জানিয়েই। এছাড়া ধারাবাহিক হোম কোয়ারেন্টিনে থাকা হতদরিদ্রদের তালিকা প্রতিস্থাপনেও ইউপি সদস্যদের জানানো হয়নি।
ইউনিয়নে উন্নয়নকাজ পরিপূর্ণভাবে হচ্ছে না জানিয়ে চিঠিতে বলা হয়, বিভিন্ন উন্নয়নকাজ পরিপূর্ণ হচ্ছে না। অনেক প্রকল্পের বাজেট হয়েছে কিন্তু কোনো কাজ হয়নি।
এ অবস্থায় অভিযোগগুলো বিবেচনা করে মির্জাপুর চেয়ারম্যান নুরুল আবছারকে বহিষ্কার দাবি করেন আট ইউপি সদস্য।
যোগাযোগ করা হলে ইউএনও রুহুল আমিন জয়নিউজকে বলেন, ইউপি সদস্যদের অনাস্থা প্রস্তাবের চিঠি আমি পেয়েছি। চিঠিটি জেলা প্রশাসক বরাবর প্রেরণ করেছি। জেলা প্রশাসন থেকে নির্দেশনা আসার পর পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের ৭ মে মির্জাপুর ইউনিয়নে একটি কেন্দ্রের পাশে অস্ত্র, গুলি ও ব্যালট পেপারে ব্যবহৃত সিলসহ নগর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নুরুল আজিমকে আটক করে বিজিবি। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত ভোটকেন্দ্রে অবৈধ প্রবেশ ও প্রভাব বিস্তারের অভিযোগে ইউপি নির্বাচন আইনে তাঁকে দুই বছরের কারাদণ্ড দেন। এছাড়া তাঁর বিরুদ্ধে হাটহাজারী থানায় অস্ত্র আইনে পুলিশ বাদী হয়ে আরেকটি মামলা করে।
জানা যায়, মির্জাপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান নুরুল আবছারের ভাগ্নে হন নগর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নুরুল আজিম রনি। মূলত নির্বাচনের সময় নুরুল আবছারের পক্ষে নির্বাচনে অবৈধভাবে ভোট নিতে গিয়ে আটক হয়েছিলেন নগর ছাত্রলীগের সাবেক এ নেতা।
জয়নিউজ