সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে হাটহাজারী উপজেলা প্রশাসন। আগামীকাল সোমবার (৬ এপ্রিল) থেকে লোকজন যাতে অপ্রয়োজনে রাস্তায় বের না হতে পারে, তা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেওয়ার পাশাপাশি জনসাধারণকে বিষয়টি অবহিত করতে মাইকিংও করা হয়।
রোববার (৫ এপ্রিল) দুপুরে ওই গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, উপজেলায় করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে সবধরনের দোকানপাট পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সবসময়ের জন্য বন্ধ থাকবে। তবে শুধুমাত্র কাঁচাবাজার এবং ফলের দোকান সকাল ১১টা পর্যন্ত এবং সার, বীজ ও খাবারের দোকান (হোটেল, রেস্তোরাঁ এবং চায়ের দোকান ছাড়া) এবং মুদি দোকান বিকেল ৫টা পর্যন্ত খোলা রাখা যাবে।
এছাড়া বিকেল ৫টার পর ওষুধের দোকান, হাসপাতাল এবং ডাক্তারের চেম্বার ছাড়া আর কোনো দোকান খোলা রাখা যাবে না বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে যাদের প্রয়োজন আছে, তারা অবশ্যই চলতে পারবেন। আর যাদের প্রয়োজন নেই, তারা যেন রাস্তায় বের না হন, সেটা নিশ্চিত করতে এ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে।
এ নির্দেশ কেউ অমান্য করলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান উপজেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রুহুল আমীন।
তিনি আরো জানান, উপজেলার প্রতিটি সড়ক-মহাসড়ক ও অভ্যন্তরীণ সড়কগুলোতে চলাচল নিয়ন্ত্রণ করবে আইন শৃঙ্খলাবাহিনী। এ সময় সেনাবাহিনী ও পুলিশ মাঠে থাকবে। প্রয়োজন ছাড়া কেউ রাস্তায় বের হলে আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর জেরার মুখে পড়তে হবে। তবে সংবাদপত্রসহ জরুরি সেবা আওতামুক্ত থাকবে বলে জানান তিনি।
এদিকে প্রতিদিনের মত রোববার সকাল থেকে ইউএনও সেনাবাহিনী ও পুলিশ বাহিনীকে নিয়ে পৌরসভা বাজার, ইছাপুর, সরকার হাট, কাটিরহাটসহ এলাকার বিভিন্ন বাজারে অবস্থানরত মানুষজনকে বাজারে বিনা প্রয়োজনে আসতে নিষেধ করতে দেখা গেছে। তাছাড়া কেনাকাটা করতে আসা জনগণকে কমপক্ষে তিন ফুট দূরত্ব বজায় রাখতে উদ্বুদ্ধ করাসহ দ্রুত প্রয়োজনীয় কাজ শেষে বাড়িতে ফিরে যাওয়ার ব্যাপক প্রচারণা চালানো হয়। সেই সঙ্গে পৌর বাজারে একটি চায়ের দোকান বন্ধ করে দেওয়া হয়। এছাড়াও দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রন রাখতে বাজার মনিটরিং করেন তিনি।