পুলিশ প্রহরায় শহীদ মিনারে ফুল দিয়েই সটকে পড়তে হলো চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি মাহমুদুল করিম ও সাধারণ সম্পাদক সুভাষ মল্লিককে। শনিবার (২২ সেপ্টেম্বর) সকালে তারা ফুল দিতে গেলে পদবঞ্চিতদের রোষানলে পড়েন।
এদিকে শনিবার সকাল ১১টা থেকে চট্টগ্রাম কলেজে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপ মুখোমুখি অবস্থান নিয়েছে। সকাল থেকেই কলেজের আশপাশের এলাকায় তিন গ্রুপ মহড়া দেওয়া শুরু করে। চট্টগ্রাম কলেজের ভেতর অবস্থান নিয়েছে পদবঞ্চিতরা ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা।
চকবাজার গুলজার মোড়, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হোস্টেল গেইট, গণিবেকারি মোড়, দেবপাহাড় ও চন্দনপুরা এলাকায় বিভিন্ন গ্রুপের কর্মীরা অবস্থান নিয়েছে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে।
চকবাজার থানার ওসি আবুল কালাম আজাদ জানান, সংঘাতময় পরিস্থিতি এড়াতে সর্বোচ্চ সর্তক অবস্থানে রয়েছে পুলিশ। চট্টগ্রাম কলেজ ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, শনিবার সকালে শহীদ মিনারে ফুল দিতে যায় চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রলীগ সভাপতি মাহমুদুল করিম ও সাধারণ সম্পাদক সুভাষ মল্লিক। এ সময় পুলিশ তাদের প্রহরা দেয়। কিন্তু ফুল দিতে গেলেই পদবঞ্চিতরা তাদের দিকে তেড়ে আসে। সেখানে পদবঞ্চিতরা তাদের পাথর নিক্ষেপ করে। পাঁচ মিনিটের মধ্যেই মাহমুদুল ও সুভাষ তাদের অনুসারীদের নিয়ে কলেজ প্রাঙ্গণ ত্যাগ করে।
গত ১৭ সেপ্টেম্বর রাতে চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রলীগের কমিটি গঠন করা হয়। কমিটিতে শিবির, অছাত্র ও বহিরাগতদের রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে প্রতিদিনই দফায় দফায় সংঘর্ষ হয় দুই পক্ষে। ইতোমধ্যে কমিটি বাতিলের দাবিতে আন্দোলন করে আসছে ছাত্রলীগের বড় একটি অংশ।
ঘোষিত ২৫ সদস্যের কমিটি থেকে পদত্যাগ করেছেন ৭ সদস্য।
কমিটি গঠনের পরদিন থেকে কলেজ প্রাঙ্গণে অবস্থান নেয় পদবঞ্চিতরা। সভাপতি মাহমুদুল করিম ও সাধারণ সম্পাদক সুভাষ মল্লিক সবুজ বৃহষ্পতিবার পর্যন্ত চট্টগ্রাম কলেজে যেতে পারেনি।
এ বিষয়ে চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রলীগ সভাপতি মাহমুদুল করিম জয়নিউজকে বলেন, শনিবার সকালে আমরা স্বাধীনতাযুদ্ধের বীর সৈনিকদের শ্রদ্ধা জানাতে চট্টগ্রাম কলেজের শহীদ মিনারে ফুল দিই। এ সময় কলেজের সাধারণ শিক্ষার্থীরা ছাত্রলীগের নতুন কমিটিকে অভ্যর্থনা জানায়।
চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রলীগের কমিটি থেকে পদত্যাগকারী সাংগঠনিক সম্পাদক মো. বেলাল বলেন, কথিত সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে কলেজে প্রবেশ করে শহীদ মিনারে ফুল দেয়। এ সময় সাধারণ শিক্ষার্থীরা তাদের প্রতিহত করতে চাইলে তারা পুলিশের সঙ্গেই বেরিয়ে যায়।
জয়নিউজ/আল্পনা