করোনা পরিস্থিতিতে কারাগারে থাকা বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আসলাম চৌধুরীর মুক্তি চেয়ে সরকারের কাছে আবেদন করেছে তার পরিবার।
বুধবার (৮ এপ্রিল) দুপুরে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপারের মাধ্যমে স্বরাষ্ট মন্ত্রণালয় বরাবর এ আবেদন করা হয়।
আসলাম চৌধুরীর পরিবারের পক্ষে আবেদন করেন তার আইনজীবী অ্যাডভোকেট কেএম সাইফুল ইসলাম।
আবেদনে বলা হয়, করোনা পরিস্থিতিতে সারাদেশের কারাবন্দীদের মধ্যে থেকে মামলার প্রকৃতি, হাজতবাস, বয়স ও অসুস্থতা, আচার ব্যবহার, সামাজিক অবস্থান, সামগ্রিক ও পারিপার্শ্বিক অবস্থা বিবেচনাপূর্বক কারাবন্দীদের মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
২০১৬ সালের ১৫মে থেকে জেল হাজতে আছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আসলাম চৌধুরী। তার বিরুদ্ধে দায়েরকৃত সব মামলায় জামিনে থাকার পরও দু টি মামলায় জামিন আদেশ মহামান্য সুপ্রিম কোর্টের আপীল বিভাগ কর্তৃক স্থগিত হওয়ায় তার মুক্তির প্রক্রিয়া থমকে গিয়েছিল। মামলা দুটি হলো দুর্নীতি দমন আইনে দায়েরকৃত এবং তিনি মামলাদ্বয়ে মূল আসামি নন। তিনি ছিলেন ব্যাংক লোনের বিপরীতে গ্রান্টার। মূল আসামিসহ অন্যান্য সকল আসামি ইতোমধ্যে জামিনে মুক্ত আছেন ।
আবেদনে বলা হয়, দীর্ঘদিন ধরে কারাবন্দী আসলাম চৌধুরী একজন উচ্চ শিক্ষিত, দানশীল এবং রাজনীতিবিদ। তিনি পূর্ব থেকে বিভিন্ন রোগে ভুগছিলেন এবং দেশ-বিদেশে নিয়মিত চিকিৎসাসেবা গ্রহণ করতেন। দীর্ঘ কারাভোগের কারণে তিনি শারীরিকভাবে অসুস্থ এবং কারা কর্তৃপক্ষ বিজ্ঞ আদালতের নির্দেশে কারাগারের বাইরেও চিকিৎসা সেবা দিয়েছেন। বর্তমানে তিনি শারীরিকভাবে অসুস্থ ও মানসিকভাবে খুবই বিপর্যস্ত।
বর্তমানে চলমান করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে তিনি এবং তাঁর পরিবার এমনকি এলাকাবাসীও মনে করছেন এ ভাইরাসে তিনিও যেকোনো সময় সংক্রমিত হতে পারেন। তাই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী চট্টগ্রামের যেসব বন্দীদের মুক্তি দেওয়া হবে তার তালিকায় আসলাম চৌধুরীর নাম অন্তর্ভুক্ত করার আহ্বান জানানো হয়।
এবিষয়ে আসলাম চৌধুরীর আইনজীবী সাইফুল ইসলাম জয়নিউজকে বলেন, আসলাম চৌধুরীর রাজনৈতিক ক্যারিয়ার ও পারিপার্শ্বিক অবস্থান বিবেচনা করে সরকারের কাছে তার মুক্তির আবেদন করেছি। আশাকরি সরকার বিষয়টি আন্তরিকভাবে দেখবেন।