বাংলাদেশে আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে কভিড-১৯ এর সংক্রমণ। বৈশ্বিক এ মহামরী মোকাবেলায় সহায়তা করতে ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটির (ইডিইউ) অধীনে অ্যাক্সেস অ্যাকাডেমির শিক্ষার্থীরা সংগ্রহ করেছে ৩ লাখ ৭৪ হাজার ৩শ ৩ টাকা। অনলাইনের বিভিন্ন কার্যক্রমের মাধ্যমে ‘ক্রাউড ফান্ডিং’য়ে এ অর্থ সংগ্রহ করেছে শিক্ষার্থীরা। ইডিইউর অ্যাক্সেস অ্যাকাডেমির কোর্সওয়ার্ক মেরাকি-৪ এর অংশ হিসেবে এ কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়।
অ্যাক্সেস অ্যাকাডেমিতে স্টুডেন্ট ডেভলপমেন্ট সেমিনারের অধীনে এ কোর্সওয়ার্ক অনুষ্ঠিত হয়। গ্রিক শব্দ মেরাকির অর্থ ভালোবেসে কাজ করা। শিক্ষার্থীদের বিভিন্নধরনের সামাজিক সচেতনতামূলক কর্মকাণ্ডে জড়ানো ও এসব কাজের প্রতি তাদের মধ্যে ভালোবাসা সৃষ্টি করা এই কোর্সওয়ার্কের অন্যতম লক্ষ্য। শিক্ষার্থীদের উন্নতি ও মেধা যাচাই এবং দলগত কাজ করার প্রবণতা ও নেতৃত্ব তৈরি করার লক্ষ্যে অনুষ্ঠিত হচ্ছে এ কোর্সওয়ার্কগুলো। এই কোর্সওয়ার্কে অংশ নেয় শিক্ষার্থীদের ১৪টি দল।
অনলাইনে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে এ সহায়তা সংগ্রহ ও সচেতনতা কার্যক্রম চালাতে হয় শিক্ষার্থীদের। এক সপ্তাহের মাঝে বিভিন্নধরণের কন্টেন্ট তৈরি ও ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে কতজন মানুষের কাছে এসব তথ্য পৌঁছাতে পেরেছে এবং কতটাকা সংগ্রহ করতে পেরেছে, তার উপর ভিত্তি করে তাদের মূল্যায়ন করা হবে।
ইডিইউর প্রতিষ্ঠাতা ভাইস চেয়ারম্যান সাঈদ আল নোমানের পরামর্শে এ অর্থগুলোর অর্ধেক দরিদ্রদের মাঝে জরুরি খাদ্য সরবরাহে ব্যবহৃত হবে এবং বাকি অর্ধেক কভিড-১৯ এ আক্রান্তদের চিকিৎসায় ভেন্টিলেটর ও চিকিৎসকদের পিপিই ক্রয়ের তহবিলে দেওয়া হবে।
সাঈদ আল নোমান বলেন, বর্তমান বৈশ্বিক দুর্যোগে প্রত্যেকেরই নিজ নিজ অবস্থান থেকে এগিয়ে আসা প্রয়োজন। আমাদের শিক্ষার্থীরা অনলাইনে তাদের নিয়মিত ক্লাস ও পড়ালেখার পাশাপাশি স্বল্প সময়ে যে অর্থ সংগ্রহ করেছে, তা তাদের উদ্যম ও নিবেদনের পরিচয় দেয় এবং শিক্ষার্থীরা যেভাবে ঝাঁপিয়ে পড়েছে, তা সত্যিই গর্বের। অ্যাক্সেস অ্যাকাডেমির মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা প্রকৃতই সামাজিক নেতৃত্বে অভ্যস্থ হয়ে উঠছে বলে তিনি মনে করেন।
তিনি আরো বলেন, প্রান্তিক জনগোষ্ঠী থেকে শুরু করে খেটে খাওয়া শ্রমজীবী ও মধ্যবিত্ত শ্রেণী যে গভীর অর্থনৈতিক সংকটে পড়তে যাচ্ছে, তা সামাল দিতে এ ধরনের স্বেচ্ছা উদ্যোগের পাশাপাশি এ মুহূর্তে সবচেয়ে প্রয়োজন হলো নীতিনির্ধারকদের যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত গ্রহণ। মনে রাখতে হবে, এটি বৈশ্বিক মহামারী। এ থেকে মুক্তির জন্য বিশ্বনেতাদের সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে, যার সফল কোনো উদ্যোগ এখনও পরিলক্ষিত হয়নি। বিচ্ছিন্নভাবে কোনো দেশ এই মহামারী থেকে মুক্তি পেয়ে লাভ নেই। কেননা আমরা মানবসভ্যতার ইতিহাসে এমন এক পর্যায়ে পৌঁছেছি, যেখানে পুরো পৃথিবী ওতপ্রোতোভাবে জড়িত।