প্রাণঘাতি করোনাভাইরাস যখন মানুষের মাঝে আতঙ্ক হয়ে ছড়িয়ে পড়েছে তখন মাটিরাঙার দুর্গম জনপদ তৈকাতাংয়ের ভক্তপাড়া, হরিপুর্ন কার্বারীপাড়া ও তৈকাতাং হেডম্যানপাড়ায় ছড়িয়ে পড়েছে হাম। হামে আক্রান্ত হয়েছে এসব এলাকার ১০ বছরের নীচে অনেক শিশু।
ওইসব এলাকার শিশুরা হামে আক্রান্ত হওয়ার সপ্তাহ না পেরুতেই খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসকের নির্দেশে খাদ্য সহায়তা নিয়ে দুর্গম তৈকাতাং ছুটে গেছেন মাটিরাঙা উপজেলা নির্বাহী (ইউএনও) কর্মকর্তা বিভীষণ কান্তি দাশ।
বুধবার (৮ এপ্রিল) সকালের দিকে তিনি খাদ্য সহায়তা নিয়ে ছুটে যান।
এসময় হামে আক্রান্ত পরিবারগুলোর মাঝে ১০ কেজি চাল, ডাল, আলু, পেয়াজ ও তেল বিতরণ করেন। এছাড়া তিনি শিশুদের পুষ্টিহীনতা রোধকল্পে প্রতিটি পরিবারকে ডিম ও দুধ দেন। এরপর মাটিরাঙা সদর ইউনিয়নের ওয়াছু এলাকায় করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে অসহায় ও কর্মহীন মানুষের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেন তিনি।
এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা রাজকুমার শীল, সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হিরনজয় ত্রিপুরা, মাটিরাঙা প্রেস ক্লাবের সভাপতি এমএম জাহাঙ্গীর আলম ও স্থানীয় ইউপি সদস্য মলেন্দ্র লাল ত্রিপুরা প্রমুখ।
খাদ্য বিতরণ শেষে ইউএনও বলেন, ইতোমধ্যে মাটিরাঙার দুর্গম তৈকাতাং এলাকার শিশুরা হামসহ নানা অপুষ্টিজনিত রোগে আক্রান্ত শিশুদের চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করে খাদ্য সহায়তাসহ শিশুদের পুষ্টিহীনতা রোধকল্পে প্রতিটি পরিবারের মাঝে ডিম ও দুধ দেওয়া হয়েছে। ভবিষ্যতেও এ এলাকায় চিকিৎসাব্যবস্থা নিশ্চিত করা হবে বলেও জানান তিনি।