সেন্টমার্টিনের অদূরে বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশের পতাকাবাহী এফবি সানিয়া’নামে একটি মাছধরার ট্রলারকে লক্ষ্য করে মিয়ানমার নৌবাহিনী গুলিবর্ষণ করেছে বলে খবর পাওয়া গেছে। এতে ট্রলারে থাকা ছয় জেলে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।
গুলিবিদ্ধ জেলেরা হলেন-মো. শরীফ, আলী হোসেন, আবদুল মজিদ, শেখ আহমদ, রহিম খান ও মো. জীবন। তারা সবাই চট্রগ্রামের বাসিন্দা বলে জানা গেছে। আহতদের মধ্যে রহিম খান ও জীবনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
বুধবার (৮ এপ্রিল) রাতে এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ কোস্টগার্ড চট্টগ্রাম পূর্ব জোনের স্টাফ কর্মকর্তা (অপারেশন) লেফটেন্যান্ট কমান্ডার (বিএন) এম সাইফুল ইসলাম।
কোস্টগার্ডের ভাষ্যমতে, গত শনিবার চট্টগ্রাম থেকে ডিপ সি ট্রলিং কোম্পানির স্বত্বাধিকারী মেজর আবদুল মান্নানের মালিকানাধীন ‘এফবি সানিয়া’ নামে একটি মাছ ধরার ফিশিং ট্রলার বঙ্গোপসাগরে মাছ শিকারে যায়। মঙ্গলবার রাতে তারা সেন্টমার্টিনের অদূরে পূর্ব-দক্ষিণে সাগরের মিয়ানমার জলসীমানায় মাছ ধরতে ঢুকে পরে। এসময় হঠাৎ মিয়ানমারের নৌবাহিনীর মাছ ধরার ট্রলারকে থামানোর সংকেত দেয়। তারা সংকেত অমান্য করে বাংলাদেশে পালিয়ে আসার সময় মিয়ানমার নৌবাহিনীর সদস্যরা গুলিবর্ষণ করে। এতে ছয় জেলে গুলিবিদ্ধ হন। পরে বাংলাদেশে কোস্টগার্ডের টহল জাহাজ ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহত জেলেদের উদ্ধার করে। তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে চট্টগ্রামে নিয়ে আসেন। এদিকে গত ৬ দিন আগে একই কোম্পানির ‘এফবি জিনিয়া’ নামে আরও একটি ফিশিং ট্রলার সাগরে মাছ শিকারে বের হয়েছিল।
এ প্রসঙ্গে সাইফুল ইসলাম জয়নিউজকে বলেন, ‘গুলিবিদ্ধ ছয় জেলেকে চট্রগ্রামে নিয়ে আসা হয়েছে। তাদের মধ্যে দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
তিনি আরও জানান, সেদেশে জলসীমায় মাছধরার সময় মিয়ানমারের নৌবাহিনী তাদের ধাওয়া করে গুলি চালিয়েছিল। তাদের হাত-পা, পিঠ ও চোখের নিচে গুলির চিহ্ন দেখা গেছে। জেলেদের বারবার আন্তর্জাতিক জলসীমা অতিক্রম না করতে বলা হলেও তারা এটি অমান্য করছেন। তাই এ ধরণের ঘটনা ঘটছে। এ বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।
তবে ডিপ সি ট্রলিং কোম্পানির জিএম আমিরুল জামান জয়নিউজকে বলেন, সাগরের বাংলাদেশের জলসীমানায় মাছ ধরার সময় অতর্কিতভাবে তাদের ফিশিং ট্রলারে গুলিবর্ষণ চালায়। এতে ছয় জেলে গুলিবিদ্ধ হয়েছে। তারা এখন চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে।