মহেশখালীতে স্ত্রীর সঙ্গে অভিমান করে আলতাজ মিয়া (৪০) নামে এক স্বামীর আত্মহত্যার খবর পাওয়া গেছে।
শনিবার (১১ এপ্রিল) সকাল ৯ টায় পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ড চরপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আলতাজ মিয়া একই উপজেলার কুতুবজোমের ইউনিয়নের নুরু মিয়ার ছেলে।
জানা গেছে, গোরকঘাটা চরপাড়া এলাকার সেকান্দর মাঝির মেয়ে নয়ারা বেগমকে বিয়ে করার সুবাদে সে শ্বশুর বাড়ি চরপাড়া এলাকায় বাড়ি করে বসবাস করে আসছিল। নিহতের দুই মেয়ে এক ছেলে রয়েছে।
প্রতিবেশী সূত্রে জানা যায়, স্ত্রীর পরকীয় নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। এ বিষয়ে স্থানীয়ভাবে কয়েকবার সালিশও হয়েছে। তারপরও স্ত্রী পরকীয়ায় লিপ্ত থাকায় পারিকারিক কলহের জের ধরে বাড়ির ভিতরে গামছা দিয়ে তিনি আত্মহত্যা করতে পারেন বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে স্থানীয়রা। এছাড়াও সেকান্দর মাঝির ছেলেমেয়েরা প্রায় সময় মারধর ও নির্যাতন করত। তা সহ্য করতে না পেরে একসময় সে মালয়েশিয়া চলে যায়।
সম্প্রতি মালয়েশিয়া থেকে দেশে এসে নিজে ঘর করে বসবাস করলেও তার ওপর শারিরীক ও মানসিক নির্যাতনের মাত্রা কোনো অবস্থাতেই থামেনি। এ নিয়ে উভয়পক্ষের মধ্যে বিরোধ হলে তার স্ত্রী সন্তানদের নিয়ে বাপের বাড়িতে চলে যায়।
প্রতিবেশী ও গণমাধ্যমকর্মী আ ন ম হাসান জানান, নিহতের স্ত্রীর সঙ্গে ‘ঝ’ অক্ষরের ব্যক্তির সঙ্গে পরকীয়া আছে তা এলাকার সবাই জানে। যা এলাকায় মুখরোচক কথা হিসেবে জমিয়ে মজা করে লোকজন। নিজের ব্যর্থতা, মা-বাবাকে নির্যাতনের অপমান, বউ ও শ্বশুরপক্ষের নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে আলতাজ মিয়া আত্মহত্যার পথ বেঁচে নেয় বলে মন্তব্য করেন তিনি।
এদিকে নিহতের স্ত্রী নয়রা বেগম স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মনোমালিন্য থাকার কথা স্বীকার করলেও কেন আত্মহত্যা করতে পারে তা তিনি জানেন না বলেও জানান।
মহেশখালী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) বাবুল আজাদ জয়নিউজকে বলেন, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ঘটনার তদন্ত চলছে তদন্ত অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জয়নিউজ/শাহাবউদ্দীন/বিআর