করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে ফোন কলে ভর্তুকি মূল্যে মাত্র ১৫ টাকা কেজি দরে কাঁচাবাজার, শুকনোবাজার এবং ওষুধ মুহূর্তের মধ্যে নিম্নবিত্ত-মধ্যবিত্ত সবার মাঝে পৌঁছে দিচ্ছে। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে দলমতের ঊর্ধ্বে উঠে জনগণের সেবা করার নিমিত্তে ব্যতিক্রমী এ উদ্যোগটি নিয়েছে হাটহাজারীর ফতেয়াবাদ এলাকার একদল তরুণ।
শনিবার (১১ এপ্রিল) ভোর ৫টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত ফতেয়াবাদ আদর্শ বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের পাশে তরুণদের এ ব্যতিক্রমী সেবাটি চালু করেছে এলাকার তরুণ সংগঠক কেএম মিনহাজ মাসুম নামে এক যুবক।
তারই তত্ত্বাবধানে এ উদ্যোগ সফল করতে তার সঙ্গে মাঠে কাজ করছে কায়সার সাদমান, ইয়ামন মজুমদার, নুরুল হুদা হৃদয়, আবদুল নূর কায়েস, আসিফ, সাকিব, মিজান ও তাসিমসহ বেশ কয়েকজন তরুণ।
মানবসেবাধর্মী এ মহৎ কাজটি সম্পন্ন করতে এসব তরুণরা তিনটি টিমে বিভক্ত হয়ে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। এদের মধ্যে একটি টিম আশপাশের ক্ষেতে গিয়ে সরাসরি কৃষকের উৎপাদিত পণ্য ক্রয় করছে।
আরেকটি টিম কল সেন্টার ও অনলাইনেও অর্ডার নিচ্ছে এবং অন্য টিমটি ভর্তুকি মূল্যে মাত্র ১৫ টাকায় কাঁচাবাজার, শুকনোবাজার এবং ওষুধ মুহূর্তের নিম্নবিত্ত-মধ্যবিত্ত সবার মাঝে পৌঁছে দিচ্ছে।
এছাড়া ওই এলাকায় যাদের আসার সুযোগ রয়েছে তারা এসে ১৫ টাকা কেজি দরে নানাপণ্য ক্রয় করে নিয়ে যেতে দেখা গেছে। অবশ্য এক্ষেত্রে এক কেজির বেশি কেউ ক্রয় করতে পারছে না।
এলাকার তরুণদের ব্যতিক্রমধর্মী এ উদ্যোগটি সফল হলে এলাকার মানুষ সামাজিক দূরত্ব বাজার রাখার পাশাপাশি সংক্রমণ রোধে সরকারের ঘোষিত নিয়মকানুন পালন করা সহজ হবে বলে মনে করেন এলাকাবাসী।
তরুণ সংগঠক কেএম মিনহাজ মাসুম জয়নিউজকে বলেন, করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সরকারের পাশাপাশি আমরাও সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়ানো প্রচেষ্টায় আমি এলাকার কিছু উদমী তরুণদের নিয়ে এ কার্যক্রম শুরু করেছি। এসব তরুণরা ভোর থেকে বিকাল পর্যন্ত নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছে। ফোন কল পাওয়ার ঘন্টাখানেকের মধ্যে আমরা ভর্তুকি মূল্যে মাত্র ১৫ টাকায় কাঁচাবাজার, শুকনোবাজার এবং ওষুধ নিম্নবিত্ত-মধ্যবিত্ত সবার মাঝে পৌঁছে দিচ্ছে। এতে আমরা ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি।