রামুতে খালের পানিতে গোসল করতে গিয়ে ডুবে মারা গেছে মো. জুনায়েদ (১২) নামে এক শিশু।
শনিবার (১১ এপ্রিল) দুপুর ১টার দিকে গর্জনিয়া ফারিখালে এ ঘটনা ঘটে। নিহত জুনায়েদ গর্জনিয়ার বড়বিল কাচিখোলা এলাকার মো. হোসেনের ছেলে।
খবর পেয়ে গর্জনিয়া পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই মনজুর এলাহী, স্থানীয় ইউপি সদস্য নুরুল ইসলাম ও সাংবাদিক হাফিজুল ইসলাম চৌধুরী ঘটনাস্থলে ছুঁটে যায়। দুপুর ২টার দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় মৃত জুনায়েদকে উদ্ধার করে পুলিশ।
জানা গেছে, দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সবার অগোচরে জুনায়েদ তার ছোট ভাই সাইফুল ইসলাম ও আরও দুজন পাড়ার ছেলেসহ খেলতে যায়। এক সময় তারা বাড়ি থেকে প্রায় আধা কিলোমিটার দূরে সেচের পানির জন্য বাঁধ দেওয়া গর্জনিয়া ফারিখালের পানিতে গোসল করতে নামে। এ সময় জুনায়েদের পিতা রাবার শ্রমিক মো. হোসেন বাড়িতে ছিলেননা এবং মা গৃহস্থকাজে ব্যস্ত ছিলেন।
ফারিখালের পানিতে খেলতে খেলতে এক সময় জুনায়েদ পানিতে ডুবে যায়। প্রায় আধা ঘণ্টা পর জুনায়েদের নিথর দেহ ভেসে উঠলে ছোট ভাই সাইফুল ইসলামসহ অন্যান্য ছেলেরা বাড়িতে খবর দেয়।
ছেলের মৃত্যুর খবরে দিশেহারা হয়ে পড়েন বাবা রাবার বাগান শ্রমিক হোসেন। তিনি জানান, গোদার (সেচের পানির জন্য খালের বাঁধ) পানিতে গোসল করতে গিয়ে ছেলেটি মারা গেলো। এ সময় তিনি বাড়িতে ছিলেন না বলেও জানান।
গর্জনিয়া পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই মনজুর এলাহী জয়নিউজকে বলেন, নিহত শিশু ছোটভাইসহ আরও দুজন ছেলে নিয়ে খালের পানিতে গোসল করতে নামে। খালে বাঁধ দেওয়ায় পানিও ছিলো, ওই পানিতে শিশুটি ডুবে যায়। শিশুটির পিতা একজন রাবার বাগান শ্রমিক।