পহেলা বৈশাখ বাঙালির সর্ববৃহৎ সর্বজনীন উৎসব। প্রতিবছর নানা সাংস্কৃতিক আয়োজন এবং মঙ্গল শোভাযাত্রার মাধ্যমে উদযাপিত হয় দিনটি। কিন্তু এই বছর করোনাভাইরাসের কারণে ঘরে বসে দিনটি উদযাপন করেছে বাঙালি।
‘মুছে যাক গ্লানি, ঘুচে যাক জরা, অগ্নিস্নানে শুচি হোক ধরা’- এই শিরোনামে মঙ্গলবার (১৪ এপ্রিল) সকাল ৯টা থেকে বোধন আবৃত্তি পরিষদ চট্টগ্রাম তাদের নিজস্ব ফেসবুক পেইজে দিনব্যাপী বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
বোধনের সহসাধারণ সম্পাদক আবৃত্তিশিল্পী মাইনুল আজম চৌধুরীর স্বাগত বক্তব্যের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয়। শিল্পী দেবলীনা চৌধুরীর কন্ঠে ‘এসো হে বৈশাখ’ গানটির পরে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন বোধনের প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য প্রশান্ত কুমার চক্রবর্তী। নববর্ষ আবাহন করেন সমাজবিজ্ঞানী ড. অনুপম সেন।
কথামালায় অংশ নেন সাহিত্যিক ড. দেবব্রত দেবরায়, সম্মিলিত পহেলা বৈশাখ উদযাপন পরিষদ- ডিসি হিল’র অন্যতম আয়োজক সুচরিত দাশ খোকন, নববর্ষ উদযাপন পরিষদ- সিআরবি’র সহসভাপতি ডা. চন্দন দাশ, বর্ষবিদায় ও বরণ সম্মিলন পরিষদের আয়োজক সুব্রত বড়ুয়া রনি। সমাপনী বক্তব্য দেন বোধনের সভাপতি আবদুল হালিম দোভাষ।
এছাড়া আমন্ত্রিত আবৃত্তিশিল্পী হিসেবে ছিলেন জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়, উর্মিমালা বসু, জগন্নাথ বসু, সুমন্ত্র সেন গুপ্ত, ব্রততী বন্দোপাধ্যায়, ড. অমিতাভ কাঞ্জিলাল, পলাশ দাস, দেওয়ান সাইদুল হাসান ও মজুমদার বিপ্লব। কবি হোসাইন কবির, পহেলী দে ও দেবব্রত দাস স্বরচিত কবিতা পাঠ করেন।
বোধনের পক্ষে থেকে আবৃত্তি করেন আবৃত্তিশিল্পী পারভেজ চৌধুরী, পিউ সরকার, সায়রা শাহীদ, শারমিন মৃত্তিকা, তৈয়বা জহির আরশি, অসীম দাশ, মোহিনী সংগীতা সিংহ, সেহেলি হাসনাত, সুতপা মজুমদার, সন্দ্বীপন সেন একা, প্রিয়ন্তি বড়ুয়া, স্মরণ ধর, মাশতুরা মেহরীন স্নেহা ও নীল মজুমদার।
দ্বৈত আবৃত্তি পরিবেশন করেন হোসনে আরা তারিন ও রমিজ বাবু, যশস্বী বণিক ও স্নেহেন্দু বণিক, ছোঁয়া ভৌমিক ও উষ্ণ ভৌমিক। গান পরিবেশন করেন সংগীতশিল্পী দেবলীনা সুর, রঞ্জন চৌধুরী, পপলি চক্রবর্তী, দীপময় দাস, দেবলীনা চৌধুরী, প্রিয়া ভৌমিক ও নুসরাত জাহান রিনি।
দ্বৈত সংগীত পরিবেশন করেন পাপ্পু ইসলাম ও টুম্পা দাশ। তবলার লহরা পরিবেশন করেন শিল্পী লিটন মিত্র। নৃত্য পরিবেশনায় ছিল সঞ্চারী নৃত্যকলা একাডেমি, ঘুঙুর নৃত্যকলা একাডেমি ও নৃত্যম একাডেমি।
পুরো আয়োজনের তত্ত্বাবধানে ছিলেন বোধনের সাংস্কৃতিক সম্পাদক আবৃত্তিশিল্পী জাভেদ হোসেন।