তাঁরা দু’জন ভিন্ন পেশার মানুষ। তবে এখন তাঁদের পরিচয় একটাই, তাঁরা স্বেচ্ছাসেবক। উপজেলা প্রশাসনের সহায়তায় দেশের কঠিন সময়ে তাঁরা কখনো খাদ্য নিয়ে, আবার কখনো অর্থ নিয়ে কর্মহীন দরিদ্রদের পাশে দাঁড়াচ্ছেন। সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত তাঁরা হ্যান্ডমাইক নিয়ে ছুটছেন গ্রাম থেকে গ্রামে।
এঁদের একজন সোয়েব সাঈদ। তিনি রামু প্রেসক্লাবের সাবেক অর্থ সম্পাদক ও রামু রিপোর্টাস ইউনিটির সাবেক সভাপতি। অন্যজন আবু হানিফ। তিনি জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা (এনএসআই) প্রতিনিধি।
জানা গেছে, করোনাভাইরাসের চলমান এই সংকটে সোয়েব সাঈদ ও আবু হানিফ সহযোগী হয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রণয় চাকমার। দুস্থ মানুষের সেবায় নিবেদিত ওই দু’জন প্রতিদিন খাদ্যসামগ্রী নিয়ে যাচ্ছেন নিম্ন আয়ের মানুষের ঘরে ঘরে। একইসঙ্গে করোনাভাইরাস রোধে সরকারের নির্দেশিত বিধিনিষেধ সবাই যাতে মেনে চলেন সেজন্য সাধারণ মানুষকে সচেতন করছেন তাঁরা।
সাংবাদিক সোয়েব সাঈদ বলেন, বিগত ২৯ মার্চ থেকে আমরা উপজেলা প্রশাসনের সঙ্গে থেকে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সচেতনতামূলক কার্যক্রমে অংশ নিচ্ছি। করোনাভাইরাস কী, কীভাবে ছড়ায়, লক্ষণগুলো কী- তা স্থানীয়দের জানানোর চেষ্টা করছি।
তিনি বলেন, ইউএনও প্রণয় চাকমা সামাজিক দূরত্ব ও হোম কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করতে দিন-রাত কাজ করে যাচ্ছেন। ইউএনও মহোদয়ের সঙ্গে থেকে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত সচেতনতামূলক কর্মকাণ্ডে অংশ নিচ্ছি। প্রশাসনের সঙ্গে থাকতে না পারলে হয়ত মহাদুর্যোগের এই সময়ে মানবিকতা নিয়ে কাজ করতে পারতাম না।
এনএসআই প্রতিনিধি আবু হানিফ বলেন, করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে সাধারণ মানুষের আরো বেশি সচেতন হওয়া জরুরি। এই কঠিন সময়ে সরকারের নির্দেশনাগুলো মেনে চলা সবার দায়িত্ব।
তিনি বলেন, আমাদের ইউএনও একজন মানবিক গুণসম্পন্ন মানুষ। ওনার কারণেই আমরা মহতি এই কর্মকাণ্ডে নিজেদের যুক্ত করার সুযোগ পেয়েছি। ওনার কল্যাণেই বাড়ি বাড়ি গিয়ে কর্মহীন মানুষকে খাদ্য ও অর্থ সহায়তা করতে পারছি।
জয়নিউজ