দেশে সরকারিভাবে করোনা সতর্কতা জারির প্রথম থেকেই স্বেচ্ছাসেবী তরুণদের সঙ্গে সম্মিলিতভাবে মাঠে নামেন খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কংজরী চৌধুরী।
মার্চ মাসের শেষ সপ্তাহে সারাদেশে যান চলাচল ও গণকর্মস্থল সীমিত করার আদেশ জারি হলে জেলার অধিকাংশ মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েন। সে সময়ে পার্বত্য মন্ত্রণালয় থেকে পাওয়া বরাদ্দের মাধ্যমে ৫০ লাখ টাকা দিয়ে ১০ হাজার পরিবারকে ত্রাণ সামগ্রী দেওয়া হয়।
এরমধ্যে দেশে করোনা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় জেলায় লকডাউন কার্যকর করায় প্রত্যন্ত এলাকার শ্রমজীবী-দরিদ্র ও নিম্নবিত্তদের অবস্থা অবর্ণনীয় হয়ে উঠেছে। এ অবস্থায় তিনি পরিষদের নিজস্ব অর্থায়নে আরো ৫০ লাখ টাকার ত্রাণ কার্যক্রম হাতে নেন।
মাটিরাঙা সদর ইউপি চেয়ারম্যান হিরণজয় ত্রিপুরা জানান, ত্রাণ কার্যক্রমের ফলে দুর্গম ও প্রত্যন্ত এলাকার অনেক মানুষ উপকৃত হচ্ছেন। কিন্তু প্রয়োজনের তুলনায় তা এখনো সীমিত। তাই সমন্বিতভাবে ত্রাণ কার্যক্রম হওয়া বাঞ্চনীয়।
জেলা উন্নয়ন কমিটির আহ্বায়ক ও পরিষদের সদস্য মংসুইপ্রু চৌধুরী অপু জানান, জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরার নির্দেশনায় সোমবার (১৩ এপ্রিল) খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদ জেলার আরো ১০ হাজার পরিবারকে ত্রাণ দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। এছাড়া জেলা আওয়ামী লীগের করোনা সহায়তা তহবিলে পরিষদের চেয়ারম্যান ও ১৪ জন সদস্যদের এক মাসের সম্মানির সমুদয় অর্থ চেকের মাধ্যমে জেলা
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্মলেন্দু চৌধুরীর হাতে দেওয়া হয়েছে।
গুইমারা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. জাহাঙ্গীর আলম জয়নিউজকে বলেন, জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে চলমান ত্রাণ কার্যক্রমের ফলে প্রত্যন্ত এলাকার পাহাড়ি-বাঙালি অভাবী মানুষের মুখে হাসি ফুটেছে।
জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কংজরী চৌধুরী বলেন, অর্থনৈতিকভাবে আমাদের জেলা খুবই পিছিয়েপড়া একটি জনপদ। কর্মসংস্থানের সুযোগ সীমিত। বেশিরভাগ মানুষ দিনে আনে দিনে খাওয়ার। এসব মানুষ ছাড়াও অনেকে আছেন লোকলজ্জায় অভাবের কথা প্রকাশ করতে পারছে না। এই দুই শ্রেণির মানুষকে আমরা সাধ্যমতো চেষ্টা করছি সহায়তা করতে।
তিনি আরো দাবি করেন, জেলার কোনো মানুষকেই খাদ্যাভাবে কষ্ট পেতে হবেনা। আমরা যথাসম্ভব প্রচার এড়িয়ে গোপনেই ত্রাণ কার্যক্রম চালাচ্ছি। কারণ, মানুষের দুঃখ-কষ্ট নিয়ে আত্মপ্রচার করার সময় এটি নয়। তাই যে কেউ আমাকে ও পরিষদ সদস্যদের কাছে দুঃখের কথা জানাবেন।