করোনা পরিস্থিতিতে চট্টগ্রাম শহরে প্রবেশ ও বের হতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি)। এর ফলে চট্টগ্রাম শহরে প্রবেশের সবকটি পয়েন্টে বসেছে চেকপোস্ট। এসব চেকপোস্টে টাকা নেওয়ার অভিযোগ আছে। এ অবস্থায় কঠোর অবস্থানে আছে সিএমপি।
বুধবার (১৫ এপ্রিল) চেকপোস্টে মানুষের কাছ থেকে টাকা আদায়ের অভিযোগে ট্রাফিক পুলিশের এক সার্জেন্টকে ক্লোজড করেছে সিএমপি। ক্লোজড হওয়া ওই সার্জেন্টের নাম জাকির হোসেন। তিনি চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) ট্রাফিক-উত্তর বিভাগে কর্মরত।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসুবুকে ১৪ এপ্রিল শওকত হোসেন নামে একজন নিজ আইডিতে একটি পোস্ট দেন। সেখানে তিনি লিখেন, ১৩ এপ্রিল বিকেলে চান্দগাঁও এলাকায় অফিস থেকে কাপ্তাই রাস্তার মাথা হয়ে মোটরসাইকেলযোগে বাড়ি ফেরার পথে চেকপোস্টে পড়েন শওকত। তিনি এশিয়ান গ্রুপে কর্মরত। চেকপোস্টে সার্জেন্ট জাকির তার কাছে প্রথমে কাগজপত্র দেখতে চান, সব ঠিকঠাক দেখার পর শওকত হোসেনকে সার্জেন্ট জানান তার গাড়িটি জব্দ করা হবে। শওকত হোসেন তখন সার্জেন্টকে জিজ্ঞাসা করেন, জব্দ কেন করবেন? কাগজপত্রে কোনো সমস্যা থাকলে মামলা দেন।
পরে এ নিয়ে দুইজনের মধ্যে তর্কাতর্কি হয়। এক পর্যায়ে সার্জেন্ট জাকির হোসেন শওকত হোসেনের কাছে ৫ হাজার টাকা দাবি করেন। শেষে ৩ হাজার ২৫০ টাকা দিয়ে ছাড়া পান শওকত হোসেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি জয়নিউজকে বলেন, চট্টগ্রাম-কাপ্তাই রাস্তার মাথার গোলাপের দোকান, কুয়াইশ সড়কের হাটহাজারী অংশ, অক্সিজেন এলাকা, নতুন ব্রিজ, সিটি গেট এলাকায় প্রতিদিন প্রকাশ্যে চলে চাঁদাবাজি। সিএমপির কিছু সদস্য এ অপকর্মের সঙ্গে জড়িত।
করোনা পরিস্থতিতে পুলিশের ভূমিকায় মানুষ যখন প্রশংসায় পঞ্চমুখ তখন কিছু পুলিশের এমন কর্মকাণ্ডে হতবাক অনেকে। পাশাপাশি অভিযুক্ত পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যবন্থা নেওয়ায় তারা সিএমপির প্রশংসাও করেন।
এ ব্যাপারে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) এসএম মোস্তাক আহমেদ জয়নিউজকে বলেন, অপরাধী যেই হোক না কেন কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। কতিপয় সদস্যের কারণে পুলিশের বদনাম হতে দেওয়া যাবে না। সিএমপির কর্মকাণ্ড সারাদেশে প্রশংসিত বলে তিনি উল্লেখ করেন।