বাঁশখালীর পুইঁছড়ির গ্রামবাসীকে রাস্তা আরও প্রশস্থ ও দীর্ঘ করার কথা বলে রাস্তার ইট তুলে বিক্রি করে দিয়েছেন মো. নজরুল ইসলাম নামে মহিলা ইউপি সদস্যের ছেলে।
ইউনিয়নের ভিলেজারপাড়ায় সংরক্ষিত ইউপি সদস্যের ছেলে নজরুল ও তার সঙ্গীয় কয়েকজন এমন কাজ করে। এ নিয়ে এলাকাবাসীদের মধ্যে প্রচণ্ড ক্ষোভ বিরাজ করলেও সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কারও আইনগত উদ্যোগ নেই।
উপজেলা পরিষদ সূত্রে জানা গেছে, ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জহিরুল ইসলাম ১ লাখ টাকা ব্যয়ে আড়াই চেইন রাস্তায় ইট সলিং করেন। রাস্তায় ইট বসানোর ফলে গ্রামের মানুষ বর্ষা মৌসুমে চলাফেরা করতে দুর্ভোগ পোহাতে হয়নি।
স্থানীয় আবুল কালাম ও আলী আহমদসহ অসংখ্য গ্রামবাসীর অভিযোগ, রাস্তাটি প্রশস্থ ও দীর্ঘ করা হবে বলে মহিলা ইউপি সদস্যের ছেলে নজরুল ইটগুলো তিনমাস আগে তুলে নিয়ে বিক্রি করে দেয়। নজরুল ইট তোলার সময় গ্রামবাসীকে বলেছিল রাস্তাটির বড় বরাদ্দ হয়েছে তাই এ ইটগুলো তোলা হচ্ছে। এদিকে তিন মাস পার হয়ে গেলে গ্রামবাসী বিভিন্ন দপ্তরে খবর নিয়ে জানতে পারে এ রাস্তার কোনোধরনের বরাদ্দ হয়নি।
এ বিষয়ে সংরক্ষিত ইউপি সদস্য রাশেদা বেগম জয়নিউজকে বলেন, আমার ছেলে ইট চুরি করেনি। ইটগুলো অন্য রাস্তায় লাগানোর জন্য তুলে নিয়েছে। কারও অনুমতি নেওয়া হয়েছে কি-না প্রশ্নে তিনি বলেন, আমি ইউপি সদস্য কারও অনুমতি নেওয়ার দরকার কী?
পুঁইছড়ি ইউপি চেয়ারম্যান মো. সোলতান গণি চৌধুরী জয়নিউজকে বলেন, রাস্তার ইট উত্তোলনে আমাকে কিছু জানানো হয়নি। এছাড়া ওই রাস্তার কোনো বরাদ্দও হয়নি। রাস্তার ইট তুলে নজরুল অন্যায় করেছে।’