জয়নিউজবিডি ডেক্স:পৃথিবীর বাইরে পর্যটকদের নিয়ে যাওয়ার স্বপ্ন সত্যি হতে আর মাত্র কয়েক মাস বাকি! আশা করা হচ্ছে, মহাকাশে পর্যটকদের নিয়ে প্রথম ফ্লাইট যাবে ২০১৯ সালেই।
মহাকাশে পর্যটন সৃষ্টির লক্ষ্যে কাজ করছে ব্রিটিশ ধনকুবের রিচার্ড ব্র্যানসনের ভার্জিন গ্যালাক্টিক ও অ্যামাজনের স্রষ্টা জেফ বেজোসের ব্লু অরিজিন। এ নিয়ে নিরীক্ষা সম্পন্ন করার দৌড়ে শেষ পর্যায়ে রয়েছে দুটি প্রতিষ্ঠানই। তাদের দাবি, আর কয়েক মাসের ব্যবধানে সেই স্বপ্ন সত্যি হবে।
ভার্জিন গ্যালাক্টিক ও ব্লু অরিজিনের লক্ষ্য একই হলেও দুটি প্রতিষ্ঠান এক্ষেত্রে ব্যবহার করছে ভিন্ন প্রযুক্তি। ভার্জিন গ্যালাক্টিকের মহাকাশযান ভার্জিন স্পেসশিপ ইউনিটিতে দু’জন পাইলট ও ছয়জন পর্যটক যেতে পারবে প্রতিবার। ভার্জিন স্পেসশিপ ইউনিটির সঙ্গে হোয়াইটনাইটটু নামের একটি ক্যারিয়ার স্পেসক্রাফটও যুক্ত থাকবে। তবে ৪৯ হাজার ফুট উঁচুতে উঠে গেলে সেটি বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে।
মহাকাশ ভ্রমণ শেষে নিউ মেক্সিকোতে ভার্জিন গ্যালাক্টিকের মহাকাশ বন্দরে এসে নামবে ভার্জিন স্পেসশিপ ইউনিটি। এই মহাকাশযানে চড়ে শূন্যে বেড়াতে যাত্রীদেরকে দিতে হবে জনপ্রতি আড়াই লাখ ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় ২ কোটি ১১ লাখ ২৬ হাজার টাকারও বেশি।
গত মে মাসে বিবিসি রেডিও ফোরকে রিচার্ড ব্র্যানসন আশা প্রকাশ করে জানান, পরবর্তী ১২ মাসের মধ্যে যাত্রী নিয়ে মহাকাশে যাওয়া সম্ভব হবে। ইতোমধ্যে ৬৫০ জন পর্যটক তাদের ভার্জিন স্পেসশিপ ইউনিটি মহাকাশযানে চড়তে ইচ্ছে প্রকাশ করেছেন।
অন্যদিকে ব্লু অরিজিনের জন্য রকেট আকারের ৬০ ফুট লম্বা মহাকাশযান নিউ শেফার্ড তৈরি করছে মার্কিন দুই প্রতিষ্ঠান স্পেসএক্স ও বোয়িং। এতেও যেতে পারবেন ছয়জন যাত্রী। এর পরিচালকদের মধ্যে রব মেয়ারসন জানিয়েছেন, শিগগিরই চূড়ান্ত নিরীক্ষায় যাবেন তারা। ব্লু অরিজিনের কর্মকর্তা ইও মাতসুতোমি গত সপ্তাহে জানান, এ বছরের শেষপ্রান্তে তাদের নিরীক্ষা শেষ হবে।