ভ্যানগাড়িতে থরে থরে সাজানো আছে আলু, মিষ্টি কুমড়ো, শশা, টমেটো, লাউ, লালশাক, পালংশাক, ডাঁটা শাকসহ ১০ প্রকার শাকসবজি। কিন্তু নেই কোনো দৃশ্যমান বিক্রেতা। শুধু কয়েকজন স্বেচ্ছাসেবক তদারকি করছেন। যার যেটা প্রয়োজন তিনি নিজ হাতেই পরিমাণ মতো তুলে বাজার ব্যাগে ভরে নিচ্ছেন, তাও আবার বিনামূল্যে। তবে এরআগে হাত ধোয়াও রয়েছে বাধ্যতামূলক।
শুক্রবার (১৭ এপ্রিল) ভোর ৫টা থেকে শুরু হয়ে সকাল ১১টা পর্যন্ত চট্টগ্রামের হাটহাজারী পার্বতী মডেল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের মূল ফটকের সামনে সামাজিক দূরত্ব মেনে লাইনে দাঁড়িয়ে ‘ভালোবাসার ভ্যানগাড়ি’থেকে শত শত কর্মহীন অসহায় মানুষ বিনামূল্যে নিজেদের পরিবারের জন্য সবজি সংগ্রহ করতে দেখা গেছে।
এ ব্যতিক্রমী উদ্যোগটি গ্রহণ করেছেন আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় প্রচার ও প্রকাশনা উপ-কমিটির প্রাক্তন সদস্য রাশেদুল ইসলাম রাসেল।
বৃহস্পতিবার (১৬ এপ্রিল) ভোর থেকে এ কার্যক্রম শুরু হয়।
এ কার্যক্রমের দায়িত্বে থাকা মূল সমন্বয়কারী ছাত্রলীগ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাবেক প্রচার সম্পাদক মো. রাশেদুল আলম জিসান জয়নিউজকে বলেন, সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করার পাশাপাশি কর্মহীন অসহায় মানুষের কথা চিন্তা করে ‘ভালোবাসার ভ্যানগাড়ি’ নামে এ ব্যতিক্রমী উদ্যোগটি গ্রহণ করেছেন আওয়ামী লীগ নেতা রাশেদুল ইসলাম রাসেল। দেশের এ ক্রান্তিকালে বিনামূল্যে অসহায়দের পাশে দাঁড়াতে এ ভ্রাম্যমাণ সবজিবাজার তিনি চালু করলেন।
প্রতিদিন উপজেলার বিভিন্ন বাজারে আমাদের নেতাকর্মীরা বেলা ১১টা পর্যন্ত ভ্যানে করে এ কার্যক্রম চালু রাখে।
এছাড়া ১১টার পর ভ্রাম্যমাণ ভ্যানগুলো উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় চলে যায় এবং বিনামূল্যে সবজি সরবরাহ করে।
পার্বতী স্কুলের সামনে ভালোবাসার ভ্যানগাড়িতে সবজি বিতরণকালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুহুল আমিন উপস্থিত হয়ে এমন উদ্যোগের প্রশংসা করে বলেন, আওয়ামী লীগ নেতা রাশেদুল ইসলাম রাসেল করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের শুরু থেকেই কাজ করে আসছেন। এরই ধারাবাহিকতায় বিনামূল্যে সাধারণ মানুষের কাছে বিনামূল্যে সবজি বিতরণ করছেন এ উদ্যোগটি আসলে সত্যিই সমর্থনযোগ্য এবং অনুকরণীয় বটে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে তরুণ আওয়ামী লীগ নেতা রাশেদুল ইসলাম রাসেল মুঠোফোনে জয়নিউজকে বলেন, দেশের এ কান্তিকালে যাদের নুন আনতে পান্তা ফুরায় অবস্থা এসব মানুষের কথা মাথায় রেখে গ্রামের প্রান্তিক চাষীদের কাছ থেকে ন্যায্য মূল্যে সবজি সংগ্রহ করে আমরা ভ্রাম্যমাণ ভালোবাসার ভ্যানগাড়িতে করে বিনামূল্যে বিতরণ করে যাচ্ছি। এমন দুর্যোগময় মুহুর্তে আমি তাদের পাশে দাঁড়ানোর জন্যই বিনামূল্যে ভ্রাম্যমাণ সবজির দোকান চালু করেছি। নিম্নআয়ের এসব মানুষ যেকেউ চাইলেই ভ্যান থেকে সবজি সংগ্রহ করতে পারবেন।