সারাদেশের কারাগার থেকে ১ হাজার ৪২০ কারাবন্দিকে মুক্তি দিচ্ছে সরকার। ইতোমধ্যে তালিকাও চূড়ান্ত হয়েছে। তবে বৃহস্পতিবার (২৩ এপ্রিল) পর্যন্ত সিদ্ধান্ত না আসায় এখনই তাদের মুক্তি দেওয়া হচ্ছে না।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, অনেক দিন ধরেই কারা অধিদপ্তর ৫৬৯ ধারায় বন্দিদের মুক্তি দেওয়ার ব্যাপারে অনুরোধ করছেন। এজন্য কমিটি আছে। কমিটি যাচাই-বাছাই করছে। কতজন মুক্তি পেতে পারেন সেটা বিবেচনা হবে আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত ও প্রধানমন্ত্রীর স্বাক্ষরের পর।
কোন ধরনের অপরাধী মুক্তি পাবেন— এমন প্রশ্নে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ছোট অপরাধ, অসুস্থ কিংবা ভালো ব্যবহার বা কাজ করেছেন এমন বন্দিদের এ সুযোগ দেওয়া হয়ে থাকে। শীর্ষ সন্ত্রাসী বা দুর্ধর্ষ ডাকাতরা এ সুবিধা পাবেন না। আইনেও বলা আছে কারা সুবিধা পেতে পারেন।
কারা সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে প্রায় ২ শতাধিক বন্দির তালিকা দেওয়া হয়েছে। এখান থেকে সবচেয়ে বেশি বন্দির তালিকা দেওয়া হয়েছে। খুলনা জেলা কারাগারের ৬৮ জন বন্দি আছেন এই তালিকায়। এছাড় মাদারীপুরে ৭৪, চাঁদপুরে ১৪০, নারায়ণগঞ্জে প্রায় অর্ধ শতাধিকসহ অন্য কারাগারগুলো থেকে একইভাবে তালিকা করে পাঠানো হয়েছে বলে অধিদপ্তরের সূত্র বলছে।
একটি সূত্র বলছে, গত মাসের মাঝামাঝিতে এ তালিকা দেওয়া হয়। ইতোমধ্যে তা স্বরাষ্ট্র হয়ে আইন মন্ত্রণালয় ও প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশের অপেক্ষায় আছে। সেক্ষেত্রে চলতি মাসের মধ্যে কিংবা ঈদের আগে বন্দিদের মুক্তি পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি রয়েছে।
সূত্র বলছে, কারাবিধির ৫৬৯ ধারা অনুসারে যারা ২০ বছর সাজাভোগ ইতোমধ্যে শেষ করেছেন, তাদের মুক্তি দিতে গত বছরের ডিসেম্বর মাসে এমন একটি প্রস্তাব স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠায় কারা অধিদপ্তর। সেই তালিকা ধরেই কারাবন্দিদের মুক্তি দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
দীর্ঘদিন ধরে কারাগারে বন্দি থাকা বৃদ্ধ, নারী, শিশু, প্রতিবন্ধী ও অসুস্থ এই পাঁচটি শ্রেণির বন্দিই মূলত মুক্তি পায়। আবার সাজার মেয়াদের দুই-তৃতীয়াংশ খাটলে, সেই বন্দির বিরুদ্ধে যদি কোনো অভিযোগ না থাকে, তবে সরকার চাইলে বিশেষ সুবিধায় তাকে মুক্তি দিতে পারে।
কারা মহাপরিদর্শক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম মোস্তফা কামাল পাশা বলেন, মন্ত্রণালয়ে অনেক আগেই প্রস্তাব পাঠিয়েছি। এটি নিয়মিত কাজ। কিন্তু এখনো আমাদের জানানো হয়নি। নির্দেশ আসলেই মুক্তির প্রক্রিয়া শুরু হবে।