গণস্বাস্থ্যের উৎপাদিত করোনা শনাক্তকরণ কিট হস্তান্তরে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। রোববার (২৬ এপ্রিল) বিকেলে রাজধানীর ধানমণ্ডিতে গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন।
এসময় তিনি কিট নিয়ে যাওয়া হলেও তা ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর গ্রহণ করেনি বলেও অভিযোগ করেন। তবে ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর বলছে, যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করছে না গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র।
দেশে করোনাভাইরাস শনাক্তের পর নতুন সম্ভাবনা তৈরি করেছিল গণস্বাস্থ্যের কিট তৈরির খবর। তবে একে ঘিরে তৈরি হয়েছে বেশ কিছু বিতর্কও।
গণস্বাস্থ্যের নগর হাসপাতালে সংবাদ সম্মেলন করে প্রতিষ্ঠানটির ট্রাস্ট্রি জাফরুল্লাহ চৌধুরী জানান, সকালে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরে নমুনা নিয়ে গেলেও তা গ্রহণ করেনি প্রতিষ্ঠানটি। অভিযোগ করেন, বেসরকারি স্বার্থ দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়ে গণস্বাস্থ্যের কিট অনুমোদনকে বিলম্বিত করা হচ্ছে।
গণস্বাস্থ্যের নগর হাসপাতালের ট্রাস্টি ড. জাফরুল্লাহ বলেন, এটা নিতে ওষুধ প্রশাসন কেন বিলম্ব করছে জানি না। একটার পর একটা অজুহাত তাদের।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়। এছাড়া বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের মাধ্যমে সিআরিও’র অনুরোধ জানানো হয়।
তবে গণস্বাস্থ্যের অভিযোগকে সম্পূর্ণ অস্বীকার করে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অভিযোগ করেন, কিট অনুমোদনের ক্ষেত্রে যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করছে না গণস্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মাহবুবুর রহমান বলেন, আমাদের কাউকে কিট নিতে অফার করেনি। অনেকক্ষণ বসেছিলেন কিন্তু কখনও বলেননি কিট নিয়ে এসেছেন। কিটটা আমাদের প্রয়োজন নেই। তাদের প্রয়োজন হলে তাদেরকে যোগাযোগ করতে হবে। আমরা কিট নেইনি, এটা আরেকটা মিথ্যা কথা।
এসময় গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রকে সব ধরনের সহায়তা করা হচ্ছে বলেও দাবি করেন ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক।