সারাদেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে সরকার সব মসজিদে মুসল্লিদের যাওয়া বন্ধ করেছে। কিন্তু এ ঝুঁকির মধ্যেই এলাকার মসজিদগুলো মুসল্লিদের জন্য খুলে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন গাজীপুরের মেয়র জাহাঙ্গীর আলম।
মঙ্গলবার (২৮ এপ্রিল) দুপুরে সিটি কর্পোরেশনের বোর্ড বাজার আঞ্চলিক অফিস থেকে ফেইসবুকের এক ভিডিও বার্তায় তিনি এ সিদ্ধান্ত জানান।
দেশের যেসব এলাকায় কোভিড-১৯ বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন। তার একটি হলো গাজীপুর। এ শিল্প এলাকায় পোশাক কারখানা খুলে দেওয়ায় ভাইরাস সংক্রমণ ব্যাপক আকারে ছড়ানোর আশঙ্কা রষেছে।
কিন্তু এর মধ্যেই গাজীপুর সিটি মেয়র জাহাঙ্গীর আলম বলেন, “গাজীপুর মহানগরীতে মাত্র কয়েকটি এলাকায় করোনাভাইরাস (রোগী) রয়েছে। বাকিগুলো পাশের উপজেলাগুলোতে অবস্থান করছে। যেহেতু গাজীপুরের গার্মেন্টসগুলো খুলে দেওয়া হয়েছে, তাই এ রমজান মাসে এখন আর মসজিদে অল্প সংখ্যক মুসল্লিদের জন্য সীমাবদ্ধ রাখার কোনো প্রয়োজন নেই। শুক্রবারের জুমার নামাজ ও রমজানের তারাবির নামাজে মুসল্লিগণ অংশ নিতে পারবেন। এতে সিটি কর্পোরেশনের কোনো বাধা থাকবে না।”
ভিডিও বার্তায় তিনি আরো বলেন, যারা অসুস্থ নয় এবং যে সব ওয়ার্ডে করোনাভাইরাস পজেটিভ রোগী পাওয়া যায়নি, সে সব এলাকার মসজিদে যদি মুসল্লিরা নামাজ পড়তে চায়, তাহলে আমাদের পক্ষ থেকে কোনো সমস্যা হবে না। তবে ওই সব এলাকায় যেন বাইরে থেকে কোনো লোক করোনার উপসর্গ নিয়ে আসতে না পারে, সে দিকে সকলকে খেয়াল রাখতে হবে।
এর আগে গত ৬ এপ্রিল দেশের সব মসজিদে বাইরে থেকে মুসল্লি ঢোকার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয় সরকার। এক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ইমাম-মুয়াজ্জিনসহ মসজিদের খাদেমরা মিলে পাঁচজনের জামাত হবে। রমজানের রোজা শুরুর পর তারাবির জামাতে অংশগ্রহণকারীর সংখ্যা ১২ জনে উন্নীত করা হলেও বাইরে থেকে কারও ঢোকায় নিষেধাজ্ঞা ওঠানো হয়নি।
সরকারী নির্দেশনার বিষয়টি উল্লেখ করে গাজীপুরের জেলা প্রশাসক এস এম তরিকুল ইসলাম জানান, মেয়রের মহানগরের মসজিদগুলোতে তারাবি ও জুম্মার নামাজ উন্মুক্ত করে দেওয়ার ঘোষণার কথা শুনেছি। তবে সেটা তার নিজস্ব বক্তব্য। এটা কোনো সরকারি বক্তব্য নয়। ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে দেশের মসজিদে মুসল্লিদের নামাজ আদায়ে ইতোপূর্বে যে নির্দেশনা দিয়েছে, এর বাইরে অন্য কোনো বার্তা বা নির্দেশনা আমি পাইনি।
জয়নিউজ/পিডি