হাটহাজারীতে করোনার ভয় দেখিয়ে ষষ্ঠ শ্রেণি পড়ুয়া মাদ্রাসার এক শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ করেছে মো. জুয়েল (২৩) নামে এক বাস হেলপার। ধর্ষিতা পৌর এলাকার আনোয়ারুল উলুম নোমানিয়া ফাজিল মাদ্রাসার শিক্ষার্থী। তার বাবা পেশায় একজন দিনমজুর এবং মা একটি নার্সারিতে কাজ করে বলে জানা যায়।
রোববার (৩ মে) রাতে এ ঘটনায় ধর্ষক জুয়েলকে আটক করে পুলিশ। হাটহাজারী মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) রাজিব শর্মা বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
আটক জুয়েল নোয়াখালির হাতিয়া থানার বয়ারচর এলাকার আবুল খায়েরের ছেলে। তবে জুয়েল পৌর এলাকার পূর্ব দেওয়াননগরের সরকারি খাদ্য গুদামের পিছনে করিম কলোনিতে ধর্ষিতার পার্শ্ববর্তী ঘরে ভাড়া বাসায় বসবাস করতো।
পুলিশ সূত্র জানায়, ১৪ এপ্রিল বিকালে হাটহাজারী পৌরসভার ১১মাইল পূর্ব দেওয়াননগর করিম কলোনীতে ওই শিক্ষার্থীর পরিবারের সদস্যদের অনুপস্থিতিতে বসতঘরে একা পেয়ে একই কলোনির বাসের হেলপার জুয়েল তাকে করোনার ভয় দেখিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এ ঘটনাটি জানাজানি হলে কলোনির দিদার, আনোয়ার, হোসেনের মাধ্যমে এক লাখ টাকা ধর্ষিতার পরিবারকে দেওয়ার কথা বলে ধর্ষণে বিষয়টি ধামাচাপা দেয়। এসময় কোর্টে বা থানায় মামলা দিলে তারা ধর্ষিতার পরিবারকে হত্যা করার হুমকিও দেয়।
এদিকে কলোনির জমিদার করিম মিয়া ভুক্তভোগিদের ওই কলোনি থেকে ঘটনার পর থেকে বের হয়ে যাওয়ার জন্য চাপ দিতে থাকে। অবশেষে ঘটনার দুই দিন পর উভয় পরিবার ওই কলোনি থেকে অন্যত্র ভিন্ন ভিন্ন স্থানে চলে যায়।
অন্যদিকে নিরুপায় হয়ে রোববার (৩ মে) ধর্ষিতার মা হাটহাজারী মডেল থানায় এসে একটি ধর্ষণের লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগের কারণে উপ-পরিদর্শক সেলিম মিয়া ধর্ষক জুয়েলকে রাতে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
হাটহাজারী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মাসুদ আলম জয়নিউজকে বলেন, মাদ্রাসা শিক্ষার্থীকে করোনায় ভয় দেখিয়ে জোরপূর্বক তার বসতঘরে ধর্ষণ করে অভিযুক্ত আসামি জুয়েল। অভিযোগের প্রেক্ষিতে জুয়েলকে আটক করা হয়েছে। এছাড়া এ ঘটনায় ধর্ষিতার মা থানায় এসে বাসের হেলপারের বিরুদ্ধে একটি ধর্ষণ মামলা করেছে। সোমবার দুপুরের দিকে তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে বলে তিনি জানান।