করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে জনগণকে অবশ্যই ঘরে অবস্থান করতে হবে। রাত ৮টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত অতি জরুরি প্রয়োজন ছাড়া (প্রয়োজনীয় ক্রয়-বিক্রয়, ওষুধ, চিকিৎসা সেবা, মৃতদের দাফন/সৎকার) কোনোভাবেই বাড়ির বাইরে আসা যাবে না।
বাইরে যাওয়ার ব্যাপারে কড়াকড়ি আরোপ করে করোনাভাইরাসের পরিস্থিতি মোকাবিলায় বেশ কিছু নতুন নির্দেশনা দিয়ে আগামী ১৬ মে (শনিবার) পর্যন্ত সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।
সোমবার (৪ মে) দুপুরে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে
সাধারণ ছুটি/চলাচলে নিষেধাজ্ঞাকালে এক জেলা থেকে অন্য জেলা এবং এক উপজেলা থেকে অন্য উপজেলায় জনসাধারণের চলাচল কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রিত থাকবে। জেলা প্রশাসন/আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী এই নিয়ন্ত্রণ সতর্কভাবে বাস্তবায়ন করবে। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে জনগণকে অবশ্যই ঘরে অবস্থান করতে হবে। রাত ৮টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত খুব জরুরি প্রয়োজন ছাড়া (প্রয়োজনীয় ক্রয় বিক্রয়, ওষুধ, চিকিৎসাসেবা, মৃতদের দাফন/সৎকার) কোনোভাবেই বাড়ির বাইরে আসা যাবে না।
এই ছুটি/চলাচল নিষেধাজ্ঞাকালীন সময়ে জনসাধারণ ও সব কর্তৃপক্ষকে অবশ্যই স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ জারি করা নির্দেশমালা কঠোরভাবে মেনে চলতে হবে।
করোনাভাইরাসের পরিস্থিতি মোকাবিলায় আগামী ৭ থেকে ১৪ মে পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে সরকার। এর মধ্যে ৬ মে বৌদ্ধ পূর্ণিমার সরকারি ছুটি, ৮ ও ৯ মে এবং ১৫ ও ১৬ মে (শনিবার) সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলো সরকারের ঘোষিত এই ছুটি ও নিষেধাজ্ঞার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত থাকবে। এসময় জনসাধারণের চলাচলে নিষেধাজ্ঞা কিংবা সীমিত করা যেতে পারে।
করোনা সংক্রমণ রোধে গত ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে সরকার। তারপর ৪ এপ্রিল থেকে ১১ এপ্রিল, পরে তা বাড়িয়ে ১৪ এপ্রিল করা হয়। চতুর্থ দফায় ১৪ এপ্রিল থেকে ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত ছুটি বাড়ানো হয়। এ অবস্থায় করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসায় পঞ্চম দফায় ছুটি বাড়ানো হয় ৫ মে পর্যন্ত। সেটি বাড়িয়ে এখন ১৬ মে পর্যন্ত ছুটি করা হয়েছে।