জনগণের চলাচলে নিষেধাজ্ঞা শিথিল করে সীমিত পরিসরে দোকানপাট ও শপিংমল খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। রমজান ও ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে আগামী ১০ মে থেকে এসব চালু রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (৪ মে) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও পুলিশ প্রশাসনকে এই নির্দেশনা বাস্তবায়নে আদেশ জারি করে। নির্দেশনায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে দোকানপাট ও শপিং মল খোলা রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়।
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধ এবং পরিস্থিতি উন্নয়নের লক্ষে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় আগামী ৭ মে থেকে ১৬ মে পর্যন্ত (সাপ্তাহিক ছুটিসহ) সাধারণ ছুটি/জনগণের চলাচলে নিষেধাজ্ঞা/সীমিত করার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। উল্লিখিত অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে শর্তসাপেক্ষে পরিস্থিতি বিবেচনা করে দেশের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলাগুলো আভ্যন্তরীণভাবে ব্যবসা-বাণিজ্য দোকানপাট-শপিং মলসহ অন্যান্য কার্যাবলী আগামী ১০ মে থেকে খুলে দেওয়ার ব্যবস্থা করার জন্য অনুরোধ জানানো হলো। তবে এক্ষেত্রে আন্তঃউপজেলা যোগাযোগ ও চলাচল কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।
এতে আরও বলা হয়েছে, হাট-বাজার, ব্যবসা কেন্দ্র, দোকানপাট, শপিং মলগুলো সকাল ১০টা থেকে বিকাল চারটার মধ্যে সীমিত রাখতে হবে। সেইসঙ্গে প্রতিটি শপিং মলের প্রবেশের ক্ষেত্রে হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহারসহ স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় ঘোষিত সতর্কতা গ্রহণ করতে হবে। আসন্ন ঈদের ছুটিতে জনগণকে নিজ নিজ স্থানে থাকতে হবে এবং আন্তঃজেলা ও উপজেলা/বাড়িতে যাওয়া থেকে নিবৃত করতে হবে। এমতাবস্থায় শর্তসহ বিষয়গুলো বিবেচনা করে সংশ্লিষ্ট বিভাগের অধীনস্থ অফিস, অধিদফতর, বাহিনী, সংস্থাকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা জারির জন্য অনুরোধ জানানো হলো।
এর আগে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের আদেশে সাধারণ ছুটি চলাকালে রাত ৮টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে বের না হওয়ার জন্য সাধারণ জনসাধারণকে ঘরে থাকার নির্দেশ দিয়েছে সরকার। এই সময় এক জেলা থেকে অন্য জেলায় জনসাধারণের চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। তবে রমজান ও ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে সীমিত পরিসরে দোকানপাট, শপিংমল চালু রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তবে কবে থেকে দোকানপাট খোলা রাখা হবে তা বলা ছিল না।