ভারত থেকে আরটি-পিসিআর করোনাভাইরাস শনাক্তকরণ কিট সমন্বিত জরুরি চিকিৎসা সহায়তার তৃতীয় চালান বাংলাদেশে এসে পৌঁছেছে।
বুধবার (৬ মে) বাংলাদেশ নিযুক্ত ভারতীয় হাই কমিশনার রীভা গাঙ্গুলি দাস পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেনের কাছে এ কিট হস্তান্তর করেন।
ভারতীয় হাই কমিশনার জানান, এই আরটি-পিসিআর শনাক্তকরণ কিটগুলি ভারতের ‘মাই ল্যাব ডিসকভারি সলিউশন প্রাইভেট লিমিটেড’ দ্বারা উত্পাদিত এবং কোভিড-১৯ শনাক্তকরণের জন্য ভারতে বহুল ব্যবহৃত। বাংলাদেশ অগ্রাধিকার ভিত্তিতে এই শনাক্তকরণ কিটপ্রাপ্ত প্রথম অংশীদার দেশ। এটি দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের প্রতি ভারতের গুরুত্বকে প্রতিফলিত করে।
ভারতের ‘প্রতিবেশী প্রথমে’ নীতির অংশ হিসেবে এবং কোভিড-১৯ বিস্তার রোধে একটি সহযোগিতামূলক আঞ্চলিক প্রচেষ্টার লক্ষ্যে গত ১৫ মার্চ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সার্ক নেতাদের নিয়ে একটি ভিডিও সম্মেলন করেছিলেন বলে জানান তিনি।
দুই দেশের মধ্যকার কালোত্তীর্ণ বন্ধুত্বের কথা স্মরণ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন মহামারি সংক্রমণের পর তিন দফায় ভারতের সহায়তার প্রশংসা করেন।
তিনি বলেন, শনাক্তকরণ কিটগুলি বাংলাদেশে পরীক্ষার সংখ্যা বাড়িয়ে দেবে যা এই মুহূর্তে খুব প্রয়োজন। সার্ক কোভিড-১৯ জরুরি তহবিলের আওতায় কোভিড-১৯ এর বিস্তার রোধে বাংলাদেশ সরকারের প্রচেষ্টায় সাহায্য করার উদ্দেশ্যে এই সহায়তা দেওয়া হয়েছে।
তাৎক্ষণিক ব্যবহার উপযোগী এই কিটগুলি বাংলাদেশ সরকারকে ব্যাপকভাবে পরীক্ষা করার লক্ষ্য অর্জনে সহায়তা করবে উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, আরটি-পিসিআর পরীক্ষার কিটগুলি প্রয়োজনীয় তাপমাত্রায় সংরক্ষিত অবস্থায় ইন্ডিগোর একটি ফ্লাইটে বাংলাদেশে নিয়ে আসার পর রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটে (আইইডিসিআর) এ পাঠানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ঘোষণায় ভারতের ১০ মিলিয়ন ডলার প্রাথমিক সহায়তা নিয়ে সার্ক কোভিড-১৯ জরুরি তহবিল গঠিত হয়। এই তহবিলের অধীনে ৩০ হাজার সার্জিক্যাল মাস্ক এবং ১৫ হাজার হেড-কভার সমন্বিত জরুরি চিকিৎসা সহায়তার প্রথম চালান গত ২৫ মার্চ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেনের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এরপর ২৬ এপ্রিল এক লাখ হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইন ট্যাবলেট এবং ৫০ হাজার জীবাণুমুক্ত সার্জিক্যাল ল্যাটেক্স গ্লাভস সমন্বিত জরুরি চিকিৎসা সরবরাহের দ্বিতীয় চালানটি বাংলাদেশ আসে।