বিরোধীদের কারচুপির অভিযোগ, স্বচ্ছতার অভাব আর আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমালোচনার মধ্যে মালদ্বীপে আজ রোববার (২৩ সেপ্টেম্বর) প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। বিবিসি জানিয়েছে, নির্বাচন বিষয়ে কড়া নজর রেখেছে ভারত আর চীন।
ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে অস্বচ্ছতা ও বিরোধী নিপীড়নের অভিযোগের মধ্যেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ভোটের ফলাফল জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে কি-না, তা নিয়ে এরইমধ্যে দেখা দিয়েছে সংশয়। অভিযোগ উঠেছে, এই নির্বাচনের মাধ্যমে প্রেসিডেন্ট আব্দুল্লা ইয়ামিন দ্বিতীয় দফায় ক্ষমতায় থাকতে চাচ্ছেন। কারচুপির অভিযোগ তুললেও নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে প্রার্থী হিসেবে অযোগ্য ঘোষিত সাবেক প্রেসিডেন্ট মহম্মদ নাশিদের দল।
২০০৮ সালে গণতন্ত্রে রূপান্তরিত হওয়ার পর থেকে এই নিয়ে তৃতীয়বার মালদ্বীপে নির্বাচন হচ্ছে। এবারের নির্বাচনে প্রায় ২ লক্ষ ৬০ হাজার মানুষ ভোট দেওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন। মালদ্বীপের স্থানীয় সময় সকাল আটটা থেকে ভোট দিতে শুরু করেছেন ভোটাররা।
প্রেসিডেন্ট ইয়ামিনের বিরুদ্ধে বিরোধীদের ওপর নির্যাতনের স্টিম রোলার চালানোর অভিযোগ আছে। স্থানীয় রিপোর্টে বলা হয়েছে, ভোটের আগে বিরোধীদের প্রধান কার্যালয়গুলো ঘেরাও করে তল্লাশি করেছে পুলিশ। প্রেসিডেন্ট ইয়ামিনের ওপর আশীর্বাদ রয়েছে চীনের। অন্যদিকে তার বিরোধী ইব্রাহিম মো. সোলিহ ভারত ও পশ্চিমা ঘেঁষা। ফলে দুই প্রান্তে অবস্থান করছে ভারত ও চীন।
নির্বাচন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ইউরোপিয় ইউনিয়ন ও যুক্তরাষ্ট্র। মালদ্বীপের গণতান্ত্রিক পরিস্থিতির যদি উন্নতি না হয়, তাহলে দেশটির বিরুদ্ধে তারা অবরোধের হুমকি দিয়েছে।
জয়নিউজ/আরসি