যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে নমুনা পরীক্ষায় পজেটিভ হলেও মাত্র চার দিনের ব্যবধানে একই রোগীর নমুনা পরীক্ষায় ঢাকার আইইডিসিআর থেকে নেগেটিভ হওয়ায় চরম উদ্বিগ্ন অন্তত ১৫ জন। তবে কেন এমন হয়েছে তার কোনো ব্যাখ্যা দিতে পারেননি সিভিল সার্জন।
ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্যকর্মীসহ ১০ জন করোনায় আক্রান্ত হন বলে জানা যায়। যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠানো নমুনায় তাদের করোনা পজিটিভ ধরা পড়ে। কিন্তু বেশিরভাগেরই কোনো উপসর্গ না থাকায় তাদের নমুনা আবারও সংগ্রহ করে দ্বিতীয় দফায় ঢাকায় আইইডিসিআরে পাঠানো হয়। শুক্রবার (৮ মে) আসা সাতজনের রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। দুই দিনের ব্যবধানে সংগ্রহ করা নমুনায় রিপোর্ট পাল্টে যাওয়ায় উদ্বিগ্ন ভুক্তভোগীরা।
তবে দুই ল্যাব থেকে দুই প্রকার রিপোর্ট আসার সঠিক কারণ জানাতে পারেননি জেলার স্বাস্থ্য বিভাগের শীর্ষ কর্মকর্তা।
সিভিল সার্জন ডা. সেলিনা বেগম বলেন, এটার অনেক কারণ থাকে। কানেকশন বা ট্রান্সপোর্টে নিয়ে যাওয়া অনেক কিছুর ব্যাপার থাকে। এছাড়া ভাইরোলোজির যারা তারা এ ব্যাপারে ভালো বলতে পারবে।
গত ২৮ এপ্রিল আক্রান্তদের দ্বিতীয় দফায় নমুনা সংগ্রহ করে আইইডিসিআরে পাঠানো ১৫ টি নমুনার সবগুলোই নেগেটিভ আসে বলে জানান জেলা প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তা।
জেলা প্রশাসক সরোজ কুমার নাথ বলেন, ১৫ জনের যাদের জানানো হয়েছিল করোনা পজেটিভ তাদের কেউই করোনায় আক্রান্ত নন।
সচেতনমহল বলছেন, করোনার মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের পরীক্ষায় স্বাস্থ্য বিভাগকে আরও সচেতন হতে হবে।
সনাক সদস্য আমিনুর রহমান টুকু বলেন, মেশিনের কোনো ত্রুটি থাকতে পারে বা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেছে তাদের ভুল হতে পারে। তবে তাদের সতর্ক হতে হবে।