চট্টগ্রাম বিভাগে নতুন করে ৮০ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ পাওয়া গেছে। তাঁদের মধ্যে চট্টগ্রাম নগরের ৪৩ জন ও উপজেলার ২১ জন। এছাড়া ভিন্ন জেলার ১৬ জন রয়েছেন।
সোমবার (১১ মে) চট্টগ্রামে করোনা পরীক্ষার ৩ ল্যাবে ৩৮৩ নমুনায় তাঁদের করোনা পজিটিভি আসে।
বিআইটিআইডি ল্যাবে আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে রয়েছেন নগরের গ্রীনভিউ সোসাইটির ৪৬ বছরের পুরুষ, কর্ণেলহাটের ২৮ বছর বয়সী পুরুষ, পাহাড়তলীর নোয়াপাড়ার ২৮ বছর বয়সী পুরুষ, বাঁচা মিয়া রোড এলাকায় ৪৩ বছর বয়সী পুরুষ, লালখানবাজারের পশ্চিম বাঘঘোনার ৭০ বছর বয়সী পুরুষ, নয়াবাজারে ৩৫ বছর বয়সী নারী, আকবরশাহ এলাকায় ৩০ বছর বয়সী নারী, চকবাজারে ৬৫ বছর বয়সী পুরুষ, পশ্চিম নাসিরাবাদে ৩০ বছর বয়সী নারী, পাঁচলাইশে ৩২ বছর বয়সী নারী, ফিল্ড হাসপাতালে ৬০ বছর বয়সী পুরুষ, দামপাড়া পুলিশ লাইনে ৪০ বছর বয়সী পুরুষ, নন্দন কানন এলাকায় ৩০ বছর বয়সী পুরুষ, ছোটপুলে ১২ বছর বয়সী কিশোরী, আগ্রাবাদে ৪২ বছর বয়সী পুরুষ এবং একই এলাকার ২৯ বছর বয়সী এক নারী চিকিৎসক। এছাড়া চমেক হাসপাতালে ৪০ বছর বয়সী এক নারীর শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। উপজেলার মধ্যে সাতকানিয়ার ৩ জন ও পটিয়ায় ৩ মাস বয়সী শিশুসহ এক পরিবারের ৯ জন করোনা শনাক্ত। তাছাড়া পটিয়ায় আরও ২ জন করোনা আক্রান্ত রয়েছেন।
সিভাসুর ল্যাবে আক্রান্ত রোগীর মধ্যে কাজীর দেউরি ও লালদিঘির পাড়ে একজন করে। কদমতলীতে ২ জন, হালিশহরের ২ জন, ফিরিঙ্গিবাজার, পতেঙ্গায়, টেরিবাজার, এয়ারপোর্ট রোড ও পশ্চিম গলি চকবাজার এলাকায় একজন করে রয়েছেন। উপজেলার মধ্যে সাতকানিয়া, রাঙ্গুনিয়া ও হাটহাজারী এলাকায় ২ জন করে। সীতাকুণ্ড উপজেলার একজন রয়েছেন।
চমেক ল্যাবে আক্রান্তরা হলেন রাহাত্তারপুলে ২ জন, বিএমএ ২ জন, হাজারীগলিতে ২ জন, বন্দরটিলায় একজন, পতেঙ্গায় (বিএনএস) এলাকায় একজন, বায়েজিদে ও বেপারীপাড়ায় একজন করে, ডবলমুরিং (ডিসি অফিস) একজন, সাকেরপুল ও ফ্রিপোর্ট বন্দর এলাকায় একজন করে। উপজেলার মধ্যে পটিয়া ও সীতাকুণ্ড এলাকায় একজন করে রয়েছেন।
এছাড়া কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চট্টগ্রাম জেলার ১২টি নমুনা পরীক্ষায় একজনের করোনা শনাক্ত হয়। তিনি লোহাগাড়া এলাকার বাসিন্দা।
সোমবার রাতে জয়নিউজকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি।