বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ পরিস্থিতিতে চলমান সাধারণ ছুটি আরও এক দফা বাড়তে পারে। আগামী ১৭ থেকে ২৬ মে পর্যন্ত অর্থাৎ ঈদ পর্যন্ত ছুটি বাড়ানোর ঘোষণা আসতে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
এর আগে করোনার কারণে সরকার প্রথমে ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত ছুটি ঘোষণা করে সরকার। পরে আরও ছয় দফায় ছুটি বাড়িয়ে ১৬ মে পর্যন্ত করা হয়। কিন্তু দেশে এখনও করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতির উন্নতি নেই, বরং দিন দিন অবনতির দিকে যাচ্ছে।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করে বলেন, করোনাভাইরাস (সংক্রমণ) পরিস্থিতি যা, তাতে ছুটি আরও বাড়বে-এটাই স্বাভাবিক। তিনি আরও বলেন, ১৬ মে ও ঈদের ছুটির মাঝখানে কর্মদিবস মাত্র চারটি- ৭, ১৮, ১৯, ২০ মে।
তিনি বলেন, ২১ মে শবে কদরের ছুটি। এরপর ২২ ও ২৩ মে সাপ্তাহিক ছুটি। আবার ২৪ মে (রোববার) থেকে শুরু ঈদের ছুটি। ২৫ ও ২৬ মে’ও (সোম ও মঙ্গলবার) ঈদের ছুটি থাকবে। সরকারি ছুটির তালিকায় এভাবেই নির্ধারিত আছে। তবে রমজান মাস ২৯ দিনে শেষ হলে ঈদের ছুটি থাকবে ২৩, ২৪ ও ২৫ মে (শনি, রবি ও সোম)।
তাই এবারের ছুটি আগামী ২৬ মে পর্যন্ত বর্ধিত হতে পারে বলে মনে করছেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা। তবে ১৬ মে’র পর ছুটি বাড়বে কি বাড়বে না কিংবা ছুটি বাড়লেও কতদিন বাড়বে সেটা প্রধানমন্ত্রীর ওপর নির্ভর করছে।
এ বিষয়ে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, ছুটির বিষয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীই সিদ্ধান্ত নেন। তার সিদ্ধান্ত আমরা এখনও পাইনি। দু-একদিনের মধ্যেই এটি আমরা জানতে পারব। তখনই জানা যাবে ছুটির বিষয়ে কী সিদ্ধান্ত নিচ্ছে সরকার।
ইতোমধ্যে জরুরি সেবা সংশ্লিষ্ট সরকারি অফিস সীমিত পরিসরে খুলে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া স্বাস্থ্যবিধি মানা সাপেক্ষে দোকান, শপিংমল, কারখানা, গার্মেন্টস ফ্যাক্টরিসহ অন্যান্য শিল্প ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান সীমিত আকারে খুলে দেয়া হয়েছে। তবে বন্ধ রয়েছে গণপরিবহন।
এর আগের ছুটি বাড়ানোর নির্দেশনায় বলা হয়েছিল, ঈদের সময়ে আন্তঃজেলা পরিবহন বা দূরপাল্লার কোনো যানবাহন চলাচল করবে না। এছাড়া ঈদের ছুটিতে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কর্মস্থলে থাকার নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে।