তরুণদের একটি বিশাল অংশ ধূমপান করায় করোনাভাইরাসে অধিক হারে আক্রান্ত হচ্ছেন। আবার নারীদের তুলনায় পুরুষের আক্রান্তের হারও অনেক বেশি।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও রোগ গবেষণা কেন্দ্র- আইইডিসিআর প্রকাশিত এক ইনফোগ্রাফের তথ্য নিয়ে বিশ্লেষকরা বলছেন, তামাক সেবনকারীদের আক্রান্তের হার বেশি হওয়ার কারণ হলো তাদের ফুসফুস দুর্বল থাকে।
আইইডিসিআর-এর ওয়েবসাইটে তুলে ধরা তথ্য মতে, বাংলাদেশে নারীর চেয়ে পুরুষদের মধ্যে করোনা সংক্রমণ বেশি।
বর্তমানে দেশে ৬৮ শতাংশ পুরুষ এবং ৩২ শতাংশ নারী করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত। বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণ বলছে, ২১-৩০ বছর বয়সীদের করোনা শনাক্ত হচ্ছে বেশি। এ জনগোষ্ঠীর ২৬ শতাংশই করোনা আক্রান্ত।
তবে বৃদ্ধদের আক্রান্ত সংখ্যা কম হলেও মৃত্যু বেশি ঘটছে। ৬০ বছরের ওপরে জনগোষ্ঠীর মৃত্যুর হার ৪২ শতাংশ। তবে বেশিরভাগ মৃত ব্যক্তির ক্ষেত্রে অন্যান্য একটি শারীরিক জটিলতা যেমন ডায়াবেটিস ও হৃদরোগ ছিল।
ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনের এপিডেমিওলজি অ্যাণ্ড রিসার্চ বিভাগীয় প্রধান ডা. সোহেল রেজা চৌধুরী বলেন, লকডাউনের ফলে বয়স্ক ব্যক্তিরা হয়তো বাইরে বেশি যাচ্ছে না কিন্তু তরুণরা বিভিন্ন হাটবাজার এবং কাজকর্মে বের হচ্ছে। এটিই মূল কারণ তাদের সংক্রমিত হওয়া।
তিনি মনে করেন, ধূমপান ও অন্যান্য ধোঁয়াবিহীন তামাকে অভ্যস্ততার কারণে তরুণদের ফুসফুস দূর্বল থাকে। করোনা ভাইরাস প্রথমেই শ্বাসতন্ত্রে আঘাত হানায় তরুণরাই বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন।
ডা. সোহেল রেজা চৌধুরী বলেন, প্রথমত ফুসুফুসে আক্রমণ করে কোভিডের মাধ্যমে। এর ফলে অক্সিজেন এবং কার্বন-ডাই-অক্সাইড ঠিকমত এক্সচেঞ্জ হয় না। সে কারণেই শ্বাসের সমস্যা হচ্ছে। আর এগুলো যারা ধূমপান করে তাদের হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।