পটিয়ার আশিয়া ইউনিয়নে পুকুর থেকে মাছ ধরে নিয়ে যাওয়াকে কেন্দ্র করে ভাইয়ে ভাইয়ের মধ্যে মারামারির খবর পাওয়া গেছে। এসময় ছোট ভাই নুরুল হাকিমের ছেলেদেরকে মাছ ধরতে বাঁধা দিলে প্রতিপক্ষের হামলায় বড়ভাই নুরুল আবসারের স্ত্রী ও ছেলেসহ তিনজন গুরুতর আহত হয়।
জানা যায়, মঙ্গলবার (১২ মে) রাত সাড়ে দশটার দিকে প্রতিপক্ষ ছোট ভাইসহ তার অনুসারীরা অতর্কিতভাবে হামলা চালিয়ে তার বড় ভাইসহ পরিবারের লোকজনকে আহত করেন।
আহতরা হলেন-মোছাম্মদ রোজি আকতার, নুরুল আবছার ও হোসাইন মুরাদ। আহতদের স্থানীয়রা উদ্ধার করে পটিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাসেবা দেন। এ ঘটনায় আহত রোজি আক্তার বাদী হয়ে তার দেবর নুরুল হাকিম, মো. নুরুল হুদা, মমতাজ বেগম, মিসকাত, ওসমান গনিও মো. মাকসুদের বিরুদ্ধে পটিয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার আশিয়া ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড এলাকায় বড়ভাই নুরুল আবছারের সঙ্গে প্রতিপক্ষ ছোটভাই নুরুল হাকিমের মধ্যে পৈতৃক জায়গা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। এর জের ধরে প্রতিপক্ষ নুরুল হাকিম গত ২ মে দুপুর ২টার দিকে রোজি আক্তার ও নুরুল আবছারের পুকুরের মাছ ধরে লুটপাট করে নিয়ে যায়। বিষয়টি রোজি আকতারের ছেলে হোসাইন মুরাদ এলাকার ব্যক্তিদের জানালে তারা মিমাংসার আশ্বাস দেন। কিন্ত প্রতিপক্ষ নুরুল হাকিম তা না মেনে গায়ের জোরে ১২ মে রাত সাড়ে ১০ টার দিকে পূর্বপরিকল্পিতভাবে দেশিয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে বাদীর ঘরের উঠানে গিয়ে অতর্কিত এলোপাতাড়ি ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এসময় বাধা দিলেই তাদের ওপর হামলা চালিয়ে প্রথমে হোসাইন মুরাদকে রক্তাক্ত জখম করে। এদিকে তার মা রোজি আকতার এগিয়ে আসলে প্রতিপক্ষের সন্ত্রাসীরা তার ওপরও হামলা চালিয়ে বিভিন্নস্থানে জখম করে। তার চিৎকার শুনে স্বামী নুরুল আবছার তাকে বাঁচানোর জন্য এগিয়ে আসলে তার ওপরও হামলা চালিয়ে জখম করে বলে থানার দায়েরকৃত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়। এসময় তার ঘরে ও উঠানে ইটপাটকেল ছুঁড়ে মেরে ব্যাপক ক্ষতি করা হয়েছে বলে জানান নুরুল আবছার।
এব্যাপারে পটিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. বোরহান উদ্দিন জয়নিউজকে বলেন, অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।