বাংলাদেশে করোনার জিনোম সিকোয়েন্সের মতো কঠিন কাজটি হলেও এখন পর্যন্ত জানা যায়নি কোভিড-১৯ এর সংক্রমণের হার বা ‘আর নট’। অর্থাৎ প্রতি একজনে কতজন ছড়াচ্ছে তা এখনও নির্ণয় করতে পারেনি সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর)।
যদিও প্রতিষ্ঠানটির দাবি, দুই একদিনের মধ্যে জানানো যাবে এই সংখ্যা। তা হলে কোভিড মোকাবিলা বা এলাকাভিত্তিক লকডাউন তুলে নেওয়ার বিশেষ ভূমিকা রাখবে বলে মত বিশেষজ্ঞদের।
শনাক্তের দুই মাস পরে এখনও নির্দিষ্ট করে জানা নেই বাংলাদেশে কি মাত্রায় ছড়াচ্ছে কোভিড-১৯। তবে গবেষণা কিংবা হিসাব নিকাশ যাই হোক সেই প্রক্রিয়া সেরে শিগগিরই আইইডিসিআর জানাতে যাচ্ছে বাংলাদেশে করোনার সংক্রমণ মাত্রা।
আইইডিসিআর বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা এস এম আলমগীর বলেন, একটু অপেক্ষা করতে হবে। আমাদের কাজ চলছে। দুই-চারদিন পরেই আমরা এই তথ্য বলবো।
এদিকে জিনোম সিকোয়েন্স জানা গেলেও সংক্রমণের হার কিংবা ‘আর নট’ নির্ণয়ে দুই মাসের বেশি সময় ব্যয় হওয়া গবেষণার দুর্বলতা বলছেন বিশেষজ্ঞরা।
অধ্যাপক ডা বে-নজির আহমেদ বলেন, আমাদের যেরকম জিনোম অ্যানালাইসিস হলো, সেরকম ভালো প্রমাণ তৈরি হলো। পাশাপাশি এরকম আরো প্রমাণ থাকলে আমাদের উপকার হতো।
তারা বলছেন, সাধারণত সময় কিংবা এলাকার পরিবর্তনে তারতম্য ঘটে এই সংখ্যার। তবে লকডাউন তুলে নেওয়া, কিংবা এলাকা ভিত্তিক সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিতে এই ফলাফল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মত বিশেষজ্ঞদের।
রোগটাকে যদি সেরকম সক্ষমতার সঙ্গে কন্ট্রোল করতে হয়, তাহলে ‘আর নট’ ব্যাপারটা অনেক প্রয়োজন।
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের শুরুতে চীনের উহান থেকে শুরু হওয়ার পর এ পর্যন্ত করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় পয়তাল্লিশ লাখ ছাড়িয়েছে।