বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘আম্পান’ অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেওয়ায় উপকূলজুড়ে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
ইতোমধ্যে সংকেত বাড়িয়ে দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। রোববার (১৭ মে) থেকে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূহকে চার স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
উপকূলীয় এলাকায় ঘূর্ণিঝড় নিয়ে সতকর্তামূলক প্রচারণা চালাচ্ছে স্থানীয় প্রশাসনের স্বেচ্ছাসেবকরা। একইসঙ্গে প্রস্তুত রাখা হয়েছে সাইক্লোন শেল্টারসহ বিভিন্ন বিদ্যালয় ভবন, পাকা ও নিরাপদ স্থাপনা। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ক্ষয়ক্ষতি মোকাবেলায় সবধরনের প্রস্তুতি রয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের।
এদিকে দুর্যোগের কথা শুনলেই আঁৎকে উঠে উপকূলবাসী। কারণ তারা ১৯৭০ সালের ১২ নভেম্বরের ঘূর্ণিঝড় এবং ২০০৭ সালে ১৫ নভেম্বর ‘সিডর’নামের ঘূর্ণিঝড়ের দুঃসহ অভিজ্ঞতার কথা এখনো ভুলতে পারেনি। ২০০৯ সালের আইলার কথাও তাদের মনে পড়ে। তবে সিডরের পর থেকে প্রশাসনের তৎপরতায় বিগত সময়গুলোতে যেকোনো দুর্যোগেই প্রাণহানিসহ সার্বিক ক্ষতির পরিমাণ কম ছিল। বিশেষ করে গত কয়েকটি ঘূর্ণিঝড়ের আগে সরকারের প্রচার-প্রচারণা এবং সার্বিক প্রস্তুতিতে বড়ধরনের ক্ষয়ক্ষতি থেকে বাঁচা গেছে। যদিও সিডর-আইলার মতো ঘূর্ণিঝড় বিগত কয়েক বছরে হয়নি।
অন্যদিকে করোনাভাইরাসের মধ্যে ঘূর্ণিঝড় আম্পান নিয়ে সংকটে পড়েছেন ভোলার উপকূলের মানুষ। ঝড়ের আগাম বার্তা পৌঁছানোর সঙ্গে সঙ্গেই কর্মহীন এসব মানুষ যেন অজানা আতঙ্ক ও অনিশ্চয়তা মধ্যে পড়েছেন। নিরাপদ আশ্রয় কিংবা জীবন বাঁচানোর চিন্তা না করে তারা নিজেদের বসতঘর আর সম্পদ রক্ষা নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন। ঝড়ে না জানি কি হয়, এমন চিন্তার তাদের চোখ-মুখে।